
ডেস্ক রিপোর্ট | সোমবার, ১৬ মে ২০২২ | প্রিন্ট
প্রবাসীদের ইমো অ্যাকাউন্ট হ্যাক করাই তাদের পেশা। টার্গেট মধ্যপ্রাচ্যে থাকা বাংলাদেশিরা। নানা কৌশলে ওটিপি বা ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড নিয়ে দেশে থাকা স্বজনদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে লাখ লাখ টাকা। নাটোর থেকে হ্যাকার চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতারের পর গোয়েন্দারা বলছেন, জেলার লালপুর উপজেলা পরিণত হয়েছে ইমো হ্যাকারদের দুর্গে।
নাটোরের লালপুরের বাসিন্দা তিন শিক্ষার্থী। তবে সেটি নামকাওয়াস্তে। পড়ালেখার পাঠ চুকানোর আগেই তারা বেছে নিয়েছেন প্রতারণার পেশা। ইমো হ্যাকিং এখন তাদের উপাজর্নের একমাত্র রাস্তা।
ইমো হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে তাদের নাটোর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মূল টার্গেট প্রবাসী বাংলাদেশি। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের থাকা প্রবাসী যারা স্বজনদের সঙ্গে ইমোতে কথা বলেন।
প্রথম ধাপে হ্যাকাররা ইমো অ্যাকাউন্টধারীর মোবাইল ফোন নম্বর সংগ্রহ করে। তারপর সুন্দরী তরুণীদের ছবি ব্যবহার করে মেসেজ দিতে থাকে টার্গেট ব্যক্তিকে। দেওয়া হয় অনৈতিক প্রস্তাব। দ্বিতীয় ধাপে মোবাইলে পাঠানো হয় ওটিপি বা ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড। একবার পাসওয়ার্ড জানতে পারলেই হ্যাকারের নিয়ন্ত্রণে চলে যায় ইমো অ্যাকাউন্ট।
এরপর আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুদের মেসেজ করে বিকাশে মোটা অঙ্কের টাকা চাওয়া হয়।
পুলিশ বলছে, নাটোরের লালপুর উপজেলার প্রতিটি গ্রামের ঘরে ঘরে ইমো হ্যাকার। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, ইমো বর্তমানে বেশ জনপ্রিয়। ফলে একটি এলাকার যুবকরা ইমো হ্যাকিংয়ে জড়িয়ে যাচ্ছে। আমরা স্থানীয় পুলিশ প্রশসানের সঙ্গে কথা বলেছি হ্যাকিংরোধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে।
হ্যাকারদের কাছ থেকে বাঁচতে এ ধরনের অ্যাপস ব্যবহারে সতর্ক থাকার পরামর্শ পুলিশের।
Posted ১০:২৪ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ১৬ মে ২০২২
ajkerograbani.com | shalauddin Razzak
.
.
Archive Calendar