
ডেস্ক রিপোর্ট | বৃহস্পতিবার, ৩০ জুন ২০২২ | প্রিন্ট
গোপালগঞ্জে মেয়েকে অপহরণে বাধা দেওয়ায় তার মা ক্ষমা বিশ্বাসকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে একজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আসামিকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত দায়রা জজ মো. আব্বাস উদ্দীন এই রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ওই ব্যক্তির নাম অজিত বাকচী (৩৫)। তিনি গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার খোর্দ্দ দূর্বাশুর গ্রামের রমেশ বাকচীর ছেলে । মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি পলাতক রয়েছেন। মামলার অপর আসামি মৃদুল বিশ্বাসকে (৩৪) খালাস দেয়া হয়েছে।
মামলার বিবরণে জানাগেছে, গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার খোর্দ্দ দূর্বাশুর গ্রামের রমেশ বাকচীর ছেলে অজিত বাকচী নিহত ক্ষমা বিশ্বাসের মেয়েকে দীর্ঘদিন ধরে উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন। তাকে বিয়ে করার জন্য ঘটনার এক বছর আগে প্রস্তাব দেন অজিত। বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় ওই পরিবারকে প্রতিনিয়ত হুমকি দিয়ে আসছিলেন আসামিরা। ২০১৩ সালের ১৩ অক্টোবর রাত সাড়ে ১১টার দিকে শারদীয় দুর্গা পূজার অনুষ্ঠান দেখে বাড়ি ফিরছিলেন ক্ষমা বিশ্বাস, তার মেয়ে, ছেলে অপু বিশ্বাস ও বোন স্বপ্না বিশ্বাস। পথিমধ্যে নিহতের মেয়েকে জোর করে অপহরণ করে করলে ক্ষমা বিশ্বাস বাধা দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে অজিত বাকচী ধারালো ছুরি দিয়ে ক্ষমা বিশ্বাসের বুকে আঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পডড়েন। এ সময় ক্ষমা বিশ্বাসের ছেলে অপু বিশ্বাস বাধা দিলে তাকেও কুপিয়ে আহত করা হয়। এ ঘটনার পরের দিন মুকসুদপুর থানায় অজিত বাকচী ও মৃদুল বিশ্বাসকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
দীর্ঘ তদন্ত শেষে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও মুকসুদপুর থানার এসআই আশরাফুল ইসলাম ২০১৩ সালের ১১ ডিসেম্বর আদালতে দুই আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। দীর্ঘ সাক্ষ্য প্রমান গ্রহণ শেষে বিজ্ঞ বিচারক অজিত বাকচীকে অভিযুক্ত করে মৃত্যুদণ্ড ও ১ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেন।
রায়ের পর সরকার পক্ষের এপিপি শহিদুজ্জামান খান বলেন, বাদী পক্ষ ন্যায্য বিচার পেয়েছে। আসামি পক্ষের আইনজীবি ফজলুল হক খান বলেন, আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করব।
Posted ৬:৪৪ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ৩০ জুন ২০২২
ajkerograbani.com | shalauddin Razzak
.
.
Archive Calendar