
| সোমবার, ০৮ জুন ২০২০ | প্রিন্ট
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন নারায়ণগঞ্জের করোনাযোদ্ধা আলোচিত কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। পরে অর্থ সংকটের কারণে হাসপাতাল ছেড়েছেন তিনি।
নারায়ণগঞ্জের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের সেই কাউন্সিলর ও তাঁর স্ত্রী আফরোজা খন্দকার লুনা করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ৩০ মে নারায়ণগঞ্জের সাজেদা হাসপাতালে ভর্তি হন। পরদিন স্ত্রীর শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে দু’জনই রাজধানীর পান্থপথের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন।
করোনায় মৃত ব্যক্তির পরিবারের লোকজন যখন দাফন করতে এগিয়ে আসেনি, সেই সময় মৃতদেহ দাফন করেন খন্দকার খোরশেদ। এছাড়াও করোনা পরিস্থিতির শুরু থেকে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বানিয়ে মানুষের বাড়ি বাড়িসহ বিভিন্ন স্থানে বিতরণ ও সচেতনতা তৈরি করেছেন তিনি। এমনকি তিনি ও তাঁর টিম করোনায় মৃত হিন্দু ব্যক্তিদেরও সৎকার করেন। এ কারণে করোনা যোদ্ধা’, ‘সুপার হিরো’, ‘মানবতার ফেরিওয়ালা’সহ নানা খ্যাতি পেয়েছেন তিনি।
খন্দকার খোরশেদ জানান, গত ৩১ মে স্ত্রীসহ তিনি স্কয়ার হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি হন। তাঁর স্ত্রীর অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। কিন্তু আর্থিক সংকটে আর পেরে উঠতে পারছেন না। ভর্তির পর থেকে দুজনের চিকিৎসায় বিল এসেছে ছয় লাখ ৭৫ হাজার টাকা। এই টাকার বাইরে খরচ করার ক্ষমতা তাঁর নেই। তাই হাসপাতাল থেকে চলে এসেছেন।
কাউন্সিলর আরও জানান, শনিবার পুনরায় তাঁদের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার ফলাফলে তাঁর করোনা পজেটিভ এলেও স্ত্রীর নেগেটিভ আসে। কিন্তু তাঁর শরীরের অবস্থা খুব ভালো বলে ডাক্তারদের অনুরোধ জানিয়ে তিনি ছাড়পত্র নেন। গত শুক্রবার চলে আসেন। এখন তিনি বাসায় আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাঁর স্ত্রীও পরদিন ছাড়পত্র নিয়ে হাসপাতাল ছাড়েন।
Posted ১২:২৩ অপরাহ্ণ | সোমবার, ০৮ জুন ২০২০
ajkerograbani.com | shalauddin Razzak
.
.
Archive Calendar
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ||||||
২ | ৩ | ৪ | ৫ | ৬ | ৭ | ৮ |
৯ | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ |
১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২ |
২৩ | ২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ |
৩০ | ৩১ |