কানতারা কে খান | ২৬ মে ২০১৭ | ১:৪৫ অপরাহ্ণ
মিষ্টি রোদের ঝিকিমিকি
পলাশ শিমুলের উঁকিঝুঁকি
অপরূপ প্রকৃতির রঙিন সাজে
হলো বুঝি ঋতুরাজের আগমনী।
এমনি এক ফাগুন ক্ষনে
খবর এলো হলুদ খামে
মাগো, এবার বুঝি আর হলো না আসা তোমার কোলে
তোমার হাতের স্বাদের খাবার
শীতের খেজুরের রস পিঠে পুলি
এবার আর জুটবে না কপালে।
থাকতে হবে আমাকে এখানে
লড়তে হবে, প্রতিবাদ করতে হবে, তোমার জন্য।
তুমি বুঝতে পারছো, মা
সারাদেশ আজ প্রতিবাদে মুখর
শকুনের দৃষ্টি পড়েছে আমাদের অস্তিত্বের উপর
ওরা কেড়ে নিতে চায় আমার মাকে, কেড়ে নিতে চায় তোমাকে
ভুলুণ্ঠিত করতে চায় আমার সত্তা, ভুলিয়ে দিতে চায় আমার বাংলাকে
আস্তে আস্তে শিকড় গাড়তে চায় আমার মাটিতে, দখল করতে চায় আমার দেশকে।
পারি, পারবো কি আমরা এসব মেনে নিতে ?
না না না কিছুতেই না
তাই প্রতিবাদ করছি
কিছুতেই মানব না
আমার ভাষা, আমার মা
আমার মাটিকে কিছুতে কেড়ে নিতে দিবো না।
তাই, থাকতে হবে আমাদের এখানে
লড়তে হবে, প্রতিবাদ করতে হবে, আমাদের জন্য।
রাগ করো না, মাগো
আসছি আমি কয়েকদিনেই
তোমার কোলে ঘুমাবো শান্তিতে।
মনে কষ্ট আর চোখের কোলে অশ্রু
মা সযতনে চিঠি তুলে রাখে দেরাজে।
খোকারা কথা রেখেছে
৮ই ফাগুনের সেই সকাল
খোকাদের রক্তে ভিজেছিলো রাজপথ
সালাম, বরকত, রফিক, শফীদের
টকটকে দেশ প্রেম একেকটি স্বর্ণাক্ষর হয়ে
আজো জ্বলজ্বল করছে দুনিয়াজুড়ে।
ভুলে যাইনি আমরা, ভুলে যাবো না কখনো
” আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো, ২১শে ফেব্রুয়ারী আমি কি ভুলিতে পারি ”
তাই প্রতি ফাগুনে
নতুন করে আবার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হই
ফাল্গুনের প্রতিটি সূর্যোদয়
আমাদের দিকনির্দেশনা দেয়
শপথের, বিশ্বাসের, প্রতিবাদের
আমাদের অস্তিত্বের।
কোকিলের কুহুতানে
ভ্রমরের গুঞ্জনে, শিশিরের কম্পনে
আমরা পথ হারাবো না
আমাদের অস্তিত্ত্বের শপথ হয়ে
ফাগুন বার বার ফিরে আসবে
নতুন স্পন্দনে।