আসিফ হাসান কাজল- | ১৩ আগস্ট ২০১৭ | ৯:১৫ অপরাহ্ণ
গত পহেলা আগষ্ট কন্ঠ ৭১ ও দৈনিক আজকের অগ্রবাণীতে মাগুরা সদর উপজেলার এক কর্মচারীর এানের ঢেউটিন দোকানে লাগানোর সংবাদ প্রকাশিত হবার পর খবর টি ফেসবুক সহ অন্যান্য মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। খবরটি প্রকাশ হবার পরপরই মাগুরা জেলার সুযোগ্য জেলা প্রসাশক আতিকুর রহমান বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনা করে মাগুরা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশাফুর রহমানকে এই খবরের সত্যতা যাচাই করে তদন্তের নির্দেশ দেন। এরই ধারাবাহিকতায় উক্ত কর্মচারীর বাসায় অভিযান চালিয়ে অতিরিক্ত একটি সোলার প্যানেল পাওয়া যায় ও সেটি জব্দ করা হয়।
সম্প্রতি ৪০ দিনের কর্মসূচির তালিকায় নিজের নাম থাকার পরও টাকা পায়নি মোছা: তারা বিবি। তার স্বামী মৃত- কোরমান আলী। বাড়ী মাগুরা সদরের আমুড়িয়া গ্রামে। এক ছেলে ও ৪ নাতিপুতি থাকলেও কেউ খোজ নেয়না। অনাহারে, অর্ধাহারে দিন কাটে তার। আর সবার ঘরে বিদ্যুৎ থাকলেও বৃুুদ্ধ এই মহিলা অন্ধকারেই জীবন পার করে চলেছেন। বাকী জীবনটাও এভাবে পার করবেন এটাই ছিল তার স্বাভাবিক ধারণা।
এই দু:খের কথা আজ মাগুরার জেলা প্রসাশক শুনলেন। ৪০ দিনের কর্মসূচীর প্রাপ্ত অর্থ ২৬০০ টাকা নিজ হাতে তাকে প্রদান করলেন। গল্প বলুন বা সংবাদ যা এখানেই শেষ হতে পারতো! হয়নি, হলনা।
মাগুরা ভায়না মোড় পার হয়ে বাড়ী ফিরছি ঠিক তখনই আমার মোবাইলে ইউএনও আশাফুর রহমানের ফোন বেজে উঠল। আমত্রন জানানো হলো তার অফিস এ যওয়ার। ৫ মিনিটেই পৌছে গেলাম। দেখি তারামন বিবি বসে আছে। অন্য সবাই প্রস্তুতি নিচ্ছে ৩০ ওয়াটের বড় সোলার প্যানেলটি বাক্স বন্দি করতে। তারামন বিবির মুখে হাসি। কষ্টের কথা শুধু জানালেন যে আমার ছেলে নাতি পুতি আমার খোজ নেয়না। আমাকে সময় দেয়না। আপনারা কি কিছু করতে পারবেন? উত্তরে বললাম চেষ্টা করে দেখি। আশাফুর স্যার তখন হাসি মুখে আমাকে বলছেন ক্রেডিট আপনারই যার জন্যই এই বৃদ্ধার মুখে আজ হাসি। ততক্ষনে বৃদ্ধার সোলার প্যানেলটি পৌছে দেবার জন্য ভ্যান এসে গেছে। ফটোসেশন ও দ্রæত সেরে ফেললাম।
ভাবছিলাম আজ বৃদ্ধার ঘরে আলো জ্বলবে! কিন্তু তার ছেলে তাকে দেখলে ভালোবাসলে তার মনেও আলো জ¦লতো। তখন আমার মনে ক্রমাগত এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছিল।
কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি জনাব আতিকুর রহমান জেলা প্রশাসক, মাগুরা। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি জনাব আশাফুর রহমান উপজেলা নির্বাহী অফিসার, মাগুরা সদর।