অগ্রবাণী ডেস্ক | ০২ জুলাই ২০১৭ | ৯:১৩ পূর্বাহ্ণ
বান্দরবান শহরের কালাঘাটার ফ্রান্সিঘোনা এলাকার এই পাহাড়ের এক পাশ গত ১৩ জুন ভোরে প্রবল বৃষ্টিতে ধসে যায়। এখন নতুন করে এই পাহাড়ের আরেক পাশ কাটা হচ্ছে। পাহাড় কাটার কাজে নিয়োজিত শ্রমিকেরা (ইনসেটে)।
ভারী ও অতি ভারী বৃষ্টির কারণে আজ রোববার চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কয়েকটি স্থানে পাহাড়ধসের আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।
গতকাল শনিবার আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে দেওয়া পূর্বাভাসে এ আশঙ্কার কথা বলা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম ও সিলেট অঞ্চল ছাড়াও রাজধানীসহ রংপুর, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের আশঙ্কা রয়েছে।
মেঘ আর বৃষ্টির দাপটে দেশের বেশির ভাগ স্থানে তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে বলে মনে করছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। মূলত মৌসুমি বায়ু সারা দেশে শক্তিশালী হয়ে ওঠায় বৃষ্টিপাত বাড়তে শুরু করেছে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে। তবে গতকাল শনিবার থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির মাত্রা আবারও বাড়তে শুরু করেছিল। রাজধানীতে বৃষ্টিপাত ১ মিলিমিটার রেকর্ড করা হলেও তেঁতুলিয়ায় হয়েছে সর্বোচ্চ ৫৯ মিলিমিটার বৃষ্টি।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ শাহীনুল ইসলাম বলেন, ‘আগামী তিন দিনের যে পূর্বাভাস আমরা পেয়েছি তাতে দেখা যাচ্ছে, বৃষ্টিপাত ক্রমান্বয়ে বাড়তে পারে; বিশেষ করে চট্টগ্রাম ও সিলেটের মতো পাহাড়ি এলাকাগুলোতে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। ফলে সেখানে পাহাড়ধসের মতো ঘটনা আবারও ঘটতে পারে।’
এদিকে পাহাড়ধসে বিপর্যস্ত পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলায় এখন পর্যন্ত পাহাড়ের ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলো থেকে স্থানীয় ব্যক্তিদের সরানোর কাজ শুরু হয়নি।
জানতে চাইলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. রিয়াজ আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে সিলেট ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। পাহাড়ের ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলো থেকে স্থানীয় ব্যক্তিদের সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে। আর স্থানীয় পর্যায়ে ত্রাণের মজুত রাখা আছে।’