| ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭ | ১২:৩১ অপরাহ্ণ
মাশরাফি বিন মর্তুজার আড্ডাবাজি এবং বন্ধু বাৎসল্যের কথা কার না জানা। ছোটবেলা থেকেই ছিলেন ডানপিটে। বন্ধুদের নিয়ে হই-হুল্লোড়, চিত্রা নদীতে সাঁতার কাটা আর ঘুরে বেড়ানোই ছিল নিত্য কাজ। এসব কিছুর মাঝেই হতো ক্রিকেট খেলা। এতবেশি ডানপিটে যে, এলাকার কোন মেয়ের দিকে ফিরে তাকাবেন, মনের কোনে কোথাও প্রেম উঁকি দিবে, সে সুযোগ কোথায়! স্কুল ফাঁকি দিয়ে খেলে-বেড়ানো, বন্ধুদের নিয়ে দস্যিপনাই তো ছিল তার কাজ।
কিন্তু তবুও মাশরাফির জীবনে প্রেম এসেছিল। একবার নয়, দু’বার। নিজ এলাকা নড়াইলেই। প্রথম প্রেমটি কেন যেন টিকলো না। মাশরাফিও বিস্তারিত জানাননি। দ্বিতীয় প্রেমটিই পরিণয় থেকে প্রনয় সুত্রে আবদ্ধ হয়ে গেছে। সুমনা হক সুমি। মাশরাফির স্ত্রী। স্কুল জীবন থেকেই মন-দেয়া নেয়া। এরপর মাশরাফির জেদের কাছেই হার মেনে দু’ই পরিবার সিদ্ধান্ত নিলেন, দু’জনের জীবনটা এক করে দেবেন।
দেখতে দেখতে কেটে গেল ১১ বছর। দাম্পত্যজীবনে দুই সন্তানের জনক তিনি। স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে সুখের সংসার তার। দেশ-বিদেশে রয়েছে কোটি কোটি ভক্ত। তিনি আমাদের জাতীয় ক্রিকেট ওয়ানডে দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা।
‘নড়াইল এক্সপ্রেস’ মাশরাফি বিন মর্তুজার ১১তম বিয়ে বার্ষিকী আজ। ২০০৬ সালের ৭ সেপ্টেম্বর নড়াইল চিত্রাপাড়ের মেয়ে সুমনা হক সুমিকে বিয়ে করেন এই ক্রিকেটার।
নড়াইল শহরের রূপগঞ্জে কমিউনিটি সেন্টারে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। পরেরদিন ৮ সেপ্টেম্বর চিত্রা নদীর কোল ঘেষে গড়ে ওঠা চিত্রা রিসোর্টে বৌভাত অনুষ্ঠিত হয়।
এসব অনুষ্ঠান ঘিরে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের তৎকালীন সভাপতি, কোচ, খেলোয়াড়, প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন পেশার মানুষের মিলন মেলা হয়েছিল।
বিয়ে ও বৌভাতে আমন্ত্রিত অতিথিদের ‘উপহার সামগ্রী’ না আনার অনুরোধ করা হয়েছিল। এ কারণে অন্য সব বিয়ের অনুষ্ঠানের মতো অতিথিদের হাতে সেইদিন তেমন উপহার সামগ্রী দেখা যায়নি।
এদিকে, জাতীয় ক্রিকেট ওয়ানডে দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা ও তার পরিবার কখনোই বিবাহবার্ষিকী এবং জন্মদিন ধূমধাম করে পালন করেন না। এক্ষেত্রে সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন তারা। মাশরাফি-সুমির দাম্পত্য জীবনে হুমায়রা এবং সাহেল নামে দুই সন্তান রয়েছে।
অপরদিকে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বন্ধু ও ভক্তরা মাশরাফির বিবাহবার্ষিকীর শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।