অগ্রবাণী ডেস্ক | ১৯ মে ২০১৭ | ১১:৩৩ অপরাহ্ণ
বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে আপন জুয়েলার্সের শাখাগুলো। এতে অনেক গ্রাহকের সোনা আটকা পড়েছে দোকানগুলোতে। এতে বিপাকে পড়েছেন গ্রাহকরা। অনেকে বিয়ের অলঙ্কার বানাতে দিয়ে এখন নিতে পারছেন না। বাংলাদেশে শুল্ক গোয়েন্দারা বলছেন আপন জুয়েলার্সের জব্দ করা সাড়ে ১৩ মন স্বর্ণের মধ্যে ১০ কিলোগ্রামের মত গ্রাহকদের। ২২শে মে সোমবার সেগুলো ফেরত দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বৈধভাবে আমদানি নয় সন্দেহে ঢাকার অন্যতম শীর্ষ গহনার দোকান আপন জুয়েলার্সের পাঁচটি শাখাই সিলগালা করে দিয়েছে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ। জব্দ করা হয়েছে সাড়ে ১৩ মন স্বর্ণ এবং ৪২৭ গ্রাম হীরা।
বুধবার মালিকদের জিজ্ঞাসাবাদে সন্তুষ্ট হননি শুল্ক গোয়েন্দারা। কিন্তু সোমবার ২২শে মের মধ্যে ‘জনস্বার্থের বিবেচনায়’ গ্রাহকদের স্বর্ণ, গহনা ফেরত দেওয়ার ঘোষণা করেন তারা।
গোয়েন্দা দপ্তরের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে – “আপন জুয়েলার্সের বিভিন্ন শাখায় রিপেয়ারিং এবং এক্সচেঞ্জের জন্য যেসব গ্রাহক তাদের স্বর্ণ এবং অলংকার গচ্ছিত রেখেছিলেন, তাদেরকে সোমবার (২২ মে) বেলা ২টায় রসিদসহ সেগুলো অক্ষত অবস্থায় ফেরত দেওয়া হবে।”
আপন জুয়েলার্সের মালিকরা এ ব্যাপারে গ্রাহকদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবেন।
গ্রাহকদের স্বর্ণ এবং অলংকার ফেরত দেয়ার সময় আপন জুয়েলার্সের শাখাগুলোতে সোমবার মালিকপক্ষ এবং শুল্ক গোয়েন্দারা উপস্থিত থাকবেন।
শুল্ক গোয়েন্দারা বলেছেন, মালিকদের সাথে কথা বলে তারা জানতে পেরেছেন সাড়ে ১৩ মন স্বর্ণের মধ্যে গ্রাহকদের স্বর্ণের পরিমাণ ১০ কেজির মতো। বাকি স্বর্ণের বৈধ কাগজপত্র দেখাতে মালিকদের ২৩শে মে পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে।
না দেখাতে পারলে স্বর্ণ পাচারের অভিযোগে এবং শুল্ক আইনে মামলা হতে পারে বলেও বলা হয়েছে।
আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদ ঢাকার বনানীতে দুই ছাত্রী ধর্ষণের এক মামলার প্রধান আসামি।