অনলাইন ডেস্ক | ২৫ অক্টোবর ২০১৭ | ৫:১২ অপরাহ্ণ
হলিউড প্রযোজক হারভে উইন্সটনের বিরুদ্ধে আরো যৌন নির্যাতনের অভিযোগে আরো একটি মামলা হয়েছে। এবার এমন অভিযোগ এনে মামলা করেছেন নিউ ইয়র্কের মডেল ডোমিনিক হুয়েত।
কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে যেভাবে সাপ বেরিয়ে আসে, আগ্নেয়গিরির ভিতর থেকে যেভাবে লাভার উদগীরণ ঘটে ঠিক সেরকমভাবে অব্যাহতভাবে হারভে উইন্সটেনের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ বেরিয়ে আসছে। একের পর এক নারী, বিশেষ করে হলিউডের বিখ্যাত সব নায়িকারা তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করছেন। এর সঙ্গে সর্বশেষ যুক্ত হলেন ডোমিনিক হুয়েত।
এ নিয়ে এমন অভিযোগকারী নারীর সংখ্যা দাঁড়ালো ৪০ জনের ঊর্ধ্বে।
ডোমিনিক হুয়েত দাবি করেছেন, ২০১০ সালের ঘটনা সেটা। তখন বেভারলি হিলস হোটেলে তার ওপর যৌন নির্যাতন করেন হারভে। এ অভিযোগে মঙÍলবার তিনি লস অ্যানজেলেস কাউন্টি সুপেরিয়র কোর্টে মামলা করেছেন। এতে অভিযোগ করা হয়েছে, ২০১০ সালের নভেম্বরের দিকে টেলিভিশনে বা চলচ্চিত্রে অভিনয়ের ক্ষেত্রে ভবিষ্যত কি হবে তা নির্ধারণ করতে ডোমিনিক হুয়েতকে পেনিনসুলা বেভারলি হিলস হোটেলে ডেকে পাঠান হারভে উইন্সটেন। দ্য উইন্সটেন কো-এর সহকারীরা ওই সাক্ষাতের আয়োজন করেছিলেন। অভিযোগে বলা হয়েছে বব উইন্সটেন সহ এই কোম্পানির পরিচালকরা জানতেন হারভের আচরণ সম্পর্কে। তিনি কিভাবে যুবতী নায়িকাদের জোরপূর্বক বাধ্য করতেন তার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক গড়তে তারা এর সবই জানতেন। তার কোম্পানির সবাই এসব বিষয়ে জানতেন।
১৯৯০ এর দশকে নারীদের এভাবে সরবরাহ দেয়া হতো হারভে উইন্সটেনের কাছে। ফলে বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার কারণে দ্য উইন্সটেন কো’র বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ মামলা করেছেন হুয়েত। ২০১০ সালে হোটেলে ওই সাক্ষাতের সময় ডোমিনিক হুয়েতকে অশালীন প্রস্তাব দেন হারভে, যা এখানে ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। তার শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর অঙ্গ দেখাতে বলেন হারভেকে। এতে অস্বীকৃতি জানান হুয়েত। ফলে উইন্সটেন তার সহযোগীদের জানিয়ে দেন, হুয়েতকে ডাকা হয়েছিল ছবিতে তার ভবিষ্যত ভূমিকা কি হবে তা নিয়ে। কিন্তু তিনি তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়া পর্যন্ত এটা সম্ভব নয়। এর পরেই ওই সাক্ষাতকার পর্বটি নিয়ে যান হারভে উইন্সটেন তার নিজস্ব রুমে। এক পর্যায়ে তিনি বিশ্রামের ঘরে চলে যান। তারপর শুধু কোনোমতে একটি আলখাল্লা জড়িয়ে তিনি বেরিয়ে আসেন। ডোমিনিক হুয়েত বলেছেন, এ পর্যায়ে হলিউডের এই প্রয়োজক আমাকে তার শরীর ম্যাসাজ করতে বলেন। আমি তাকে অস্বীকৃতি জানাই। বলি, আমি খুব অস্বস্তি বোধ করছি। আমার এমন কথায় উইন্সটেন বাধা দিলেন। তিনি বললেন, ‘না’ কোনো উত্তর হতে পারে না। এমন উত্তর গ্রহণযোগ্য নয়। বাধ্য হয়ে আমাকে ম্যাসাজ করতে হয়। এরই এক পর্যায়ে তিনি আমার কাছে ‘ওরাল সেক্স’ দাবি করে বসেন। তিনি জোর করে আমার পোশাক খুলে ফেলেন। তারপর ‘ওরাল সেক্সে’ মেতে ওঠেন। এরপরেই তিনি মারাত্মক অনৈতিক কাজ শুরু করেন। এ মামলায় ডোমিনিক হুয়েত শুধু উইন্সটেনের বিরুদ্ধেই অভিযোগ আনেন নি, একই সঙ্গে তার কোম্পানির নির্বাহী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন। বলা হয়েছে, যুগের পর যুগ তারা মুখ বুজে এসব দেখে গেছেন। নারী সরবরাহ দিয়েছেন। এতে আরো দাবি করা হয়েছে, হারভের কোম্পানিতে যেসব নারী কর্মীকে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল তাদেরকে ব্যবহার করা হতো ‘হানি-পট’ হিসেবে।