
মাহবুব হাসান বাবর | শনিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২০ | প্রিন্ট
সৃজনশীল কাজে জড়িত ছিলো ছেলেটি ছোটবেলা থেকে। লেখালেখির হাতও মন্দ না। জনপ্রিয় মাগাজিন অনুষ্ঠান কিন্তুতে আমাদের সাথে প্যারোডি গানে নাচতো আবার সে। দর্শক তার নাচে এবং অভিনয়ে মুগ্ধ হোতো।
ইতোমধ্যে করোনাযোদ্ধা হিসেবে মাথায় বেধেছে লাল কাপড়।
হসপিটালে ব্যাস্ততার ভেতরেও যখন কেউ ফোন করে জানতে চায় শারিরিক সমস্যা নিয়ে তখন খুব ভদ্র- শান্ত- মার্জিতভাবে মনোযোগ সহকারে শোনেন তাদের কথা। তারপর স্বভাবসুলভ কন্ঠে তাদের সমস্যা সমাধানে চেষ্টা করেন। খুব ক্রিটিক্যাল মূহুর্তে হসপিটালে আমরা তাকে পেয়ে থাকি। হাত যশও ইতিমধ্যে নিজস্ব একটা অবস্থান করে নিয়েছে। ভ্রমন পিপাসু এই মানুষটি দেশের বাইরে গিয়েও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে আমরা যারা তার কাছের মানুষ তাদের সাথেও যোগাযোগটা বিচ্ছিন্ন করেনা। ফোনেই চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকে।
হ্যা আমি ডাঃ শোভনের কথা বলছি
সম্ভাবনাময় ডাঃ শোভনের কথা বলছি
একজন স্মার্ট – দায়িত্বশীল- মেধাবী মানুষের কথা বলছি।
ছাত্র হিসেবে যখন স্কুল টিচার মা আর ব্যাংক কর্মকর্তা বাবা শিক্ষদের কাছ থেকে ইতিবাচক প্রশংসা শুনতে থাকলেন তখন তারা বুকে আশা বাধেন ছেলেকে ডাক্তার বানাবেন। তারপর মেধাবী নটরডেমিয়ান ডানপিঠে ছেলেটি সব দিক দিয়েই যখন যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখতে শুরু করলো ঠিক তখন মা – বাবার স্বপ্ন পূরনে চান্স পেলো শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেলে।
শোভনের আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ঈর্ষনীয় বন্ধুদের ফেলে গিয়ে কিছুতেই মন বসছিলনা তার। ছুরি- কাচি- সুইয়ের ফোটা তার কাছে যন্ত্রনা মনে হলো। ছেড়ে আসা বন্ধুদের কথা মনে পড়তেই বুকের ভেতর হুহু করে উঠতো। তারপরও বাবা মায়ের স্বপ্ন পূরনে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ শোভন ধীরে ধীরে ডাঃ শোভন হয়ে গেলো।
এক সময় ডাঃ শোভন নিজ এলাকায় যোগদান করলো। পুরনো বন্ধু- বান্ধব, আত্মীয় স্বজন হাপ ছাড়তে শুরু করলো। কোথায় নেই ডাঃ শোভন!
হসপিটালে- প্রশাসনের সাথে- আড্ডায়। সবখানে আছে। তবে তার পেশাগত জীবনের ব্যাপ্তি কম হলেও তার যে মেধা এবং অভিজ্ঞতা তা ঈর্ষনীয়। মুকসুদপুর হাসপাতালে দুর্যোগকালীন মূহুর্তে ডাঃ শোভন এগিয়ে আসেন সবার আগে। অযথা কোন টেস্ট না করানো তার অন্যতম গুন। রোগীর সাথে এতোটা সহজ আর নিচু গলায় কথা বলেন যা অনেকের শেখার আছে তার থেকে। মুগ্ধতা ছড়াতে থাকে দিনদিন। ছড়াতে থেকে তার সেবার মান নিয়ে সন্তষ্টি আর পেশাগত ইতিবাচকের কথাগুলি।
দিনে কিংবা রাতে পরিচিত বা অপরিচিত কোন কেউ ফোন দিয়ে সমস্যার কথা বললে, নিদ্বিধায় না রেগে কিংবা বিরক্তি না হয়ে সমাধান খোঁজেন।
মুকসুদপুরে করোনা আক্রান্ত আইসোলেশন সেন্টারে ডাঃ শোভন জীবন বাজী রেখে ছুটে যাচ্ছে নিয়মিত।
তার মতো ডাঃ আমাদের খুব দরকার ছিলো। যে মানুষটি রোগীর দিকে তাকালেই মনটা ভরে উঠবে স্বস্তিতে।
আমাদের শোভন একদিন অনেক বড় হবে- আকাশ স্পর্শ করবে তার মানবিক গুণ। সে হবে আমাদের মুকসুদপুরের ইবনেসিনা।
Posted ৭:২২ অপরাহ্ণ | শনিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২০
ajkerograbani.com | shalauddin Razzak
.
.
Archive Calendar