ডেস্ক | ০১ জুলাই ২০১৮ | ১০:১৯ অপরাহ্ণ
শনিবার রাতে রাশিয়া বিশ্বকাপে প্রথম নক্ষত্রের পতন হয় আর্জন্টিনার বিদায়ে। ফ্রান্সের গতিময় ফুটবলের কাছে ৪-৩ গোলে হেরে বিদায় নেয় লিওনেল মেসির দল।
তাদের হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম ম্যাচে উরুগুয়ের মুখোমুখি হবে ফ্রান্স। বিশ্বকাপের প্রথম নক আউট ম্যাচে অন্যতম ফেভারিট লাতিন আমেরিকার এই দলটির পরাজয়ের কারণ নিয়ে চলছে নানান কাঁটাছেড়া। চলুন দেখে নেওয়া যাক ফুটবল বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন:
কোনোমতেই মেসিকে খেলতে দেওয়া যাবে না- ফরাসি কোচ দিদিয়ের দেশ্যমের এই রণনীতি একেবারে অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলেছেন পগবা-এমবাপে-এনগোলা কতেঁরা। মেসির পায়ে বল গেলেই তাকে ঘিরে ধরেছেন অন্তত ৩ জন ফরাসি ফুটবলার। অনেকটা নীচে নেমে মেসি খেলায় আর্জেন্টিনার প্রধান অস্ত্রটাই ভোঁতা হয়ে গিয়েছিল।
আর্জেন্টিনার রণনীতি প্রথম থেকেই ছিল ভুলে ভরা। আগুয়েরো, হিগুয়েইনকে রিজার্ভ বেঞ্চে বসিয়ে রেখে শুরুতেই খানিকটা ব্যাকফুটে চলে গিয়েছিল আর্জেন্টিনা। এর ফলে প্রথম থেকেই চাপে পড়ে যায় আর্জেন্টিনার মাঝমাঠ।
আর্জেন্টিনার খেলায় হোমওয়ার্কের স্পষ্ট অভাব দেখা দিয়েছিল।
এমবাপে যে নিজের প্রচণ্ড গতি দিয়ে একাই মাঠ কাঁপিয়ে দিতে পারেন, সেটা বোধহয় ভুলে গিয়েছিলেন আর্জেন্টিনা কোচ হোর্হে সাম্পাওলি। এমবাপের গতির সামনে আর্জেন্টিনার ডিফেন্স যেন পাত্তাই পাচ্ছিল না!
ম্যাচের আগে যে হিসাব কষে খেলোয়াড়দের মাঠে নামিয়েছিলেন দেশ্যম, মাঠের খেলায় তা যেন অক্ষরে অক্ষরে মিলে গেল। অঙ্ক কষে খেলে ম্যাচ জিতল ফ্রান্স। মেসিকে আটকে রাখা এবং দুর্দান্ত গতিতে প্রতিপক্ষের দূর্গ আক্রমণ করে রোহোদের ডিফেন্সকে ছিন্নভিন্ন করে ফেললেন এমবাপে-গ্রিজম্যান-জিহুরা।
গ্রুপ পর্ব থেকেই বোঝা যাচ্ছিল, আর্জেন্টিনার ডিফেন্স ভীষণ ভীষণ দুর্বল। ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ৩ গোল খাওয়াসহ নাইজিরিয়া এমনকী প্রথম ম্যাচে নবাগত আইসল্যান্ডের বিপক্ষেও গোল হজম করতে হয়েছে তাদের! সেই দুর্বল ডিফেন্সই বিশ্বকাপ যাত্রা শেষ করল মেসিদের।
পগবা, কঁতে, মাতুইদিদের নিয়ে গড়া ফ্রান্সের মিডফিল্ড টিমের সামনে নিতান্ত সাদামাটা দেখিয়েছে আর্জেন্টিনার মিডফিল্ডারদের। বনেগা ছাড়া বাকিদের খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছিল না। যার সরাসরি প্রভাব পড়েছে মেসিকে বল যোগানোর ক্ষেত্রে।
গ্রুপ পর্বের ৩ ম্যাচের পরেও মেসি নির্ভরতা কাটিয়ে উঠতে পারল না আর্জেন্টিনা। প্রতিপক্ষ বুঝে গিয়েছিল, শুধুমাত্র মেসিকে আটকাতে পারলেই আর্জেন্টিনার দৌঁড় শেষ। আর হলোও তাই। ফ্রান্স শুধু মেসিকে খেলতে না দিয়েই প্রথম দল হিসেবে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করে ফেলল।