স্টাফ রিপোর্টারঃ | ২৪ জুন ২০১৮ | ১১:০৩ পূর্বাহ্ণ
ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা উপজেলার ৩নং আলফাডাঙ্গা ইউনিয়নের ব্রাহ্মন জাটীগ্রামের রুহুল আমিনের মেয়ে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা যায়,গত ২২জুন শুক্রবার সন্ধ্যার সময় পাশের বাড়ীর খবির উদ্দিনের ৮ম শ্রেণিতে পড়ুয়া পুত্র আঃ রহিম মোল্যা পাখির বাচ্চা দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে পার্শ্ববর্তী পাট ক্ষেতে নিয়ে যায়।পরে মেয়েটিকে হাত-পা বেধে ও মুখের ভিতর গামছা দিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এসময় মেয়েটির অতিরিক্ত রক্তখরণের ফলে জ্ঞান হারিয়ে ফেললে লম্পট যুবক নিজেই ঘাড়ে করে নিয়ে মেয়েটির বাড়ির পাশের স্বজনদের নিকট নিয়ে যায়।তখন তাদের গাছ থেকে পড়ে যাওয়ার কারনে রক্তখরণের কথা বলে মিথ্যা অজুহাত দেখিয়ে ফেলে রেখে চলে যায়।
স্বজনেরা তাকে দ্রুত আলফাডাঙ্গা প্রাইভেট হাসপাতাল পপুলারে ভর্তি করেন।হাসপাতালে কর্তব্যরত ডাক্তার
আবু সালেহ আহম্মেদ (সৌরভ) তার চিকিৎসা করতে গিয়ে ধর্ষনের আলামত বুঝতে পেরে তার পরিবারকে জানান।পরে ঐ ছাত্রীর জ্ঞান ফিরলে ধর্ষনের বিস্তারিত ঘটনা পরিবারের লোকদের ও সাংবাদিকদের নিকট তুলে ধরেন।তখন ঐ ডাক্তার জরুরী ভিত্তিতে ফরিদপুর সদর হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসা ও পরিক্ষার জন্য স্থানান্তর করেন।
সর্বশেষ এবিষয় জানতে রবিবার সকাল ১০টার সময় মেয়েটির পিতার সাথে যোগাযোগ করা হলে কান্নাজড়িত কন্ঠে তিনি এই প্রতিবেদককে জানান,এখনও আমার মেয়েটির ব্লাডিং হচ্ছে।আমার মেয়ের অবস্থা এখন পূর্বের থেকে আরও অধিক বিপদজনক।”আমার মেয়ের এই করুণ দৃশ্য আমি আর দেখতে চাই না,আল্লাহ্ আমাকে মরণ দাও”।
এবিষয় জানতে সরজমিনে অভিযুক্ত ধর্ষকের বাড়ীতে গিয়ে পরিবারের কাউকে পাওয়া যায়নি।
এখবর লেখা পর্যন্ত থানায় কোন লিখিত অভিযোগ না দিলেও থানাকে অবহিত করেছেন।এস আই সাহেব আলী হাসপাতালে ঐ ছাত্রীকে দেখতে যান বলে তার পরিবার সাংবাদিকদের জানান।
এঘটনায় এলাকার বিভিন্ন শ্রেনী পেশার জনগণ তীব্র নিন্দা ও ধর্ষককে দ্রুত গ্রেফতারের দাবী জানিয়েছেন।