আলফাডাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ | ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৭ | ৯:৩৩ অপরাহ্ণ
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলা সোনালী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার গোলাম মোস্তফা তুচ্ছ ঘটনায় ঘটনায় উপজেলা সমাজ সেবা অফিসের সেলিম মিয়ার চোখে অাঘাত করে। এতে তিনি মারাত্নক আহত হয় প্রথমে তাকে স্থানীয় হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর তাৎক্ষনিক তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
ঘটনাস্থল থেকে জানা গত ১২ সেপ্টম্বর মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১ টা দিকে সেলিম মিয়া তার দপ্তরে কিছু মুক্তিভাতা ও বয়স্ক ভাতা বই নিয়ে সোনালী ব্যাংকে টাকা বিতরনে জন্য সিনিয়র অফিসার গোলাম মোস্তফার কাছে যায়। তিনি কাজটি করতে অস্বিকৃতি জানালে এ ঘটনায় উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয় এবং এক পর্যায়ে গোলাম মোস্তফা সেলিম মিয়ার মুখে আঘাত করলে চোখে থাকা চশসা ভেঙ্গে তার চোখে ঢুকে যায়। তিনি ব্যাংকের মধ্যে পড়ে গেলে গ্রাহকরা তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে কর্তব্যরত ডাক্তার সাংবাদিকদের জানান সেলিম মিয়া চোখ মারাত্নক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে কি পরিমান ক্ষতি হয়েছে পরিক্ষা নিরিক্ষা ছাড়া কিছু বলা যাবে না। সোনালি ব্যাংকের ব্যবস্থাপক মোঃ আব্বাস আলী জানান আমি বিষয়টি উদ্ধত্বন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তবে গোলাম মোস্তফা সহ বেশ কিছু কর্মকর্তা গ্রাহকদের সাথে প্রায়সই দূর্ব্যবহার করে থাকে বলে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। কিন্ত গ্রাহকরা অসহায় হয়ে সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তাদের অবিচার দূর্ব্যবহার সহ্য করে। বিলকিস নামের একজন শিক্ষক সাংবাদিকদের জানান যদি অন্য কোন ব্যাংকে যাওয়ার সুযোগ থাকতো তাহলে আর এই বিয়াদপদের কাছে আসতাম না। তবে সেলিম মিয়াকে অন্যায় ভাবে আঘাত করায় সুশিল সমাজ গোলাম মোস্তফাকে এখান থেকে শাস্তিমূলক বদলিসহ বিচার দাবি করেছে। এঘটনার পরে গ্রাহকদের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে পুলিশের এ এস আই রাসেল মৃধার নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। আহত সেলিম মিয়ার স্ত্রী জানান চিকিৎসার পরে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।