
| শনিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ | প্রিন্ট
আল-জাজিরার প্রতিবেদন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এটা নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া নেই। কিছু বলারও নেই। একটা চ্যানেল কী করেছে, কী দেখিয়েছে৷ কী বলতে চেয়েছে। এর সত্য-মিথ্যা দেশবাসী যাচাই করবেন। যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানদের ইন্ধন থাকতে পারে এসব ঘটনায়। কেননা, তারা তো থেমে থাকবে না। তাছাড়া আওয়ামী লীগ বিরোধিতার বিষয়টি তো রয়েছেই।
শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় উত্তরণে জাতিংঘের চূড়ান্ত সুপারিশ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ গতকাল স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের জন্য জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশ লাভ করেছে। আমরা উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার পূর্ণ যোগ্যতা অর্জন করেছি। সমগ্র জাতির জন্য এটা অত্যন্ত আনন্দের এবং গর্বের। আমাদের এই উত্তরণ এমন এক সময়ে ঘটলো, যখন আমরা সর্ব কালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করছি। আমরা মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের দ্বারপ্রান্তে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশের জন্য এ উত্তরণ এক ঐতিহাসিক ঘটনা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মাত্র সাড়ে তিন বছরে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে ধ্বংসস্তূপের মধ্যে থেকে টেনে তুলে স্বল্পোন্নত দেশের কাতারে নিয়ে গিয়েছিলেন। স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে তারই হাতে গড়া বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দেশকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় উন্নীত করলো।’
তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান রাষ্ট্রের পূর্ববঙ্গ শুধু অবহেলিতই ছিল না, এখানকার সম্পদ নিয়ে গিয়ে পশ্চিম পাকিস্তানকে সমৃদ্ধ করা হচ্ছিল। শতকরা ৫৬ ভাগ মানুষের জন্য ব্যয় করা হতো ২৫-৩০ ভাগ সম্পদ। আর পশ্চিম পাকিস্তানের ৪৪ শতাংশ জনগণের জন্য ৭০-৭৫ ভাগ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব এই বৈষম্য এবং শোষণের বিরুদ্ধে সর্বপ্রথম সোচ্চার হন। শুরু করেন রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক মুক্তির আন্দোলন। সেই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালে ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে এবং ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা অর্জন করি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ।’
বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, ‘বাংলাদেশের নারীরা আজ স্বাবলম্বী। জেন্ডার গ্যাপ ইনডেক্সে ১৫৩টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৫০তম এবং নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে ৭ম। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে ২০২০ সাল শুধু আমাদের জন্য নয়, গোটা বিশ্বের জন্য ছিল সঙ্কটময়। এ মহামারিতে যাদের মৃত্যু হয়েছে, আমি তাদের আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করছি। আমরা ইতোমধ্যে টিকা প্রদান শুরু করেছি। গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ২৮ লাখ ৫০ হাজার ৯৪০ জনকে প্রথম ডোজ টিকা প্রদান করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের ফলে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশ একটি প্রত্যয়ী ও মর্যাদাশীল দেশ হিসেবে জায়গা করে নেবে। আমাদের এ অর্জনকে সুসংহত এবং টেকসই করতে হবে। ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জন, ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চমধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়া এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের জন্য এটি একটি বিশেষ ধাপ।’
সবশেষ সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘দলমত নির্বিশেষে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর এ মাহেন্দ্রক্ষণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার করি।’
Posted ৫:৪৫ অপরাহ্ণ | শনিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১
ajkerograbani.com | shalauddin Razzak
| বৃহস্পতিবার, ২৯ এপ্রিল ২০২১ | প্রিন্ট
মোসারাত জাহান মুনিয়া। রাজধানীর গুলশানের মতো অভিজাত এলাকার একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন। প্রতি মাসে ভাড়া দিতেন লাখ টাকা। আত্মহত্যার পর এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মুনিয়াকে ঘিরে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক এখন সরব মুনিয়াকে নিয়ে।
বুধবার মুনিয়ার উচ্ছৃঙ্খল জীবন-যাপনের ৪৮ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘুরছে। সেখানে দেখা গেছে, একটি রুমের মধ্যে উচ্চস্বরে হিন্দি গান বাজছে। সেখানে বিভিন্ন রঙের আলো জ্বলছে। লাল রঙের একটি ওয়েস্টার্ন পোশাক ও পায়ে উঁচু হিল পরে গানের তালে তালে নানা অঙ্গ-ভঙ্গিতে নাচছেন মুনিয়া। এই দৃশ্য কেউ একজন ভিডিও ধারণ করেছেন। তবে ভিডিওটি কবে, কোথায় করা তা যাচাই করা তাৎক্ষণিকভাবে সম্ভব হয়নি।
হুইপপুত্র নাজমুল করিম চৌধুরীর (শারুন চৌধুরী) সঙ্গেও মুনিরার যোগাযোগ ছিল বলে একটি হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের কিছু স্ক্রিনশর্ট ভাইরাল হয়েছে। যা দেখে মনে করা হচ্ছে, শারুন চৌধুরীর সঙ্গে মুনিয়ার আগে থেকেই যোগাযোগ ছিল। তবে এসব বিষয় অস্বীকার করেছেন হুইপপুত্র।
গত সোমবার কোনো একসময় গুলশানের বিলাসবহুল ভাড়া বাসায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন মুনিয়া। পরে রাতে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।
গুলশান থানায় মুনিয়ার বোনের করা মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২১ বছরের তরুণী মোসারাত জাহান পড়াশোনা করতেন মিরপুর ক্যান্ট. পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজে। প্রশ্ন উঠেছে, একজন কলেজ শিক্ষার্থী কী করে লাখ টাকা ভাড়ায় একা গুলশানের মতো অভিজাতপাড়ায় থাকতেন? পড়াশোনার বাইরে মুনিয়ার কোনো পেশা ছিল না। তাহলে বাসা ভাড়া, জীবনযাপনসহ পড়াশোনার খরচ কোথায় থেকে আসত? সেই সুবাদে সামনে আসছে মুনিয়ার পরিবারের বিষয়টি। এই ব্যয় বহনে মুনিয়ার পরিবার কতটা সচ্ছল?
তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলছে, মুনিয়া গুলশান-২ নম্বরের ১২০ নম্বর সড়কের যে ফ্ল্যাটটিতে থাকতেন সেটি ছিল তার ভাড়া বাসা। দুই মাস আগে উঠেছিলেন সেখানে। অগ্রিম দুই মাসের ভাড়াও দিয়েছিলেন। প্রতিমাসে ভাড়া ছিল এক লাখ টাকা। তিনি একাই নাকি থাকতেন ওই বাসায়। এতো টাকার উৎস বা তিনি (মুনিয়া) কাদের সঙ্গে ওঠাবসা করতেন সব বিষয় খতিয়ে দেখছেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। সূত্র: ঢাকাটাইমস
Posted ১০:৩৯ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৯ এপ্রিল ২০২১
ajkerograbani.com | shalauddin Razzak
.
.
Archive Calendar