
ডেস্ক রিপোর্ট | বুধবার, ১৮ মে ২০২২ | প্রিন্ট
অজ্ঞাত দুই নারী আসেন ব্রাইট জুয়েলার্সে। একজন বোরকা পরা, অন্যজন সাধারণ পোশাক। বিক্রি করতে চান দুটি পুরাতন স্বর্ণের চেইন ও এক জোড়া কানের দুল। পরীক্ষা করে দেখাও হলো সেগুলো স্বর্ণের। কিছুক্ষণ চলে দরকষাকষি। এক পর্যায়ে দুপক্ষই একমত হন। মিটে এক লাখ ৬৪ হাজার টাকায়। বিক্রির টাকা নিয়ে চলেও গেলেন দুই নারী। এরপরই ঘটল বিপত্তি। দেখা গেল অলংকারগুলো স্বর্ণের নয়, নকল।
ঘটনাটি বগুড়ার শহরের নিউমার্কেট এলাকার। প্রতারিত হওয়ার পর বগুড়া সদর থানায় জিডি করেন ব্রাইট জুয়েলার্সের মালিক মো. আবু ছালাত আমিন।রোববার বিকেলে তার দোকানে এ ঘটনা ঘটে। ঐ দিনই থানায় জিডি করেন তিনি।
জিডি সূত্রে জানা গেছে, অজ্ঞাত দুই নারী এক শিশুকে নিয়ে ব্রাইট জুয়েলার্সে স্বর্ণের চেইন ও কানের দুল বিক্রি করতে আসেন। তাদের স্বর্ণালংকারগুলো পরীক্ষা করে দেখা যায় সেগুলো আসল। কিন্তু এক পর্যায়ে দুই নারী আসল স্বর্ণালংকার সরিয়ে কৌশলে নকল অলংকার বের করে বদল করেন। বিষয়টি বুঝতে পারেননি জুয়েলার্স মালিক আবু ছালাত। তিনি স্বর্ণালংকারগুলো কিনে দুই নারীকে মূল্য হিসেবে এক লাখ ৬৪ হাজার টাকা দেন। টাকা পেয়ে তারা চলে যান। পরবর্তীতে আবারো ঐ অলংকারগুলো পরীক্ষা করা হয়। তখনই আবু ছালাত বুঝতে পারেন প্রতারণার শিকার হয়েছেন তিনি।
ব্রাইট জুয়েলার্সের মালিক আবু ছালাত আমিন বলেন, অজ্ঞাত দুই নারী ২ ভরি ৭ আনা ৩ রতি ৫ পয়েন্টের দুটি স্বর্ণের চেইন ও ৩ আনা ৫ রতি ৪ পয়েন্টের এক জোড়া কানের দুল বিক্রি করতে আসে আমার দোকানে। দাম মিটে ১ লাখ ৬৪ হাজার টাকায়। তবে দামাদামির এক পর্যায়ে বিক্রি করবে না বলে ওরা দোকান থেকে বের হয়েছিল। ঐ সময় স্বর্ণের চেইন বদল করেন তারা। নকল স্বর্ণের অলংকারগুলোও একই ছিল এ কারণে কিছু বুঝতে পারিনি। পরে পরীক্ষা করে দেখা যায় সেগুলো নকল।
তিনি আরো বলেন, ঘটনার দিনই সদর থানায় অভিযোগ করেছি। আজ পর্যন্ত ঐ দুই নারীর কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। তবে আমার দোকানের সিসি ক্যামেরায় ধারণ করা ভিডিও থেকে দুই নারীর ছবি সংগ্রহ করা হয়েছে।
বগুড়া সদর থানার এসআই সোহেল রানা বলেন, অজ্ঞাত দুই নারীর ছবি পেয়েছি। এছাড়া একটি মোবাইল নম্বরও পাওয়া গেছে। অভিযান চলছে। আশা করি, শিগগিরই তাদের ধরা সম্ভব হবে।
Posted ৮:৪৭ অপরাহ্ণ | বুধবার, ১৮ মে ২০২২
ajkerograbani.com | shalauddin Razzak
.
.
Archive Calendar