অনলাইন ডেস্ক | ২৭ নভেম্বর ২০১৭ | ৮:০৮ অপরাহ্ণ
আওয়ামী লীগের প্রায় দেড়শ মন্ত্রী এমপি আগামী জাতীয় নির্বাচনে মনোনয়ন পাচ্ছেন না। এদের মধ্যে একটি বড় অংশ রয়েছেন যারা ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারি নির্বাচনে বিনা ভোটে এমপি হয়েছেন, যাদের পূর্বের কোনো নির্বাচন করার অভিজ্ঞতা নেই।
অন্যদিকে এমপি হয়ে এলাকায় জনপ্রিয়তার অগ্নিপরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া দূরে থাক নানামুখী কর্মকাণ্ডে নিজেদের বিতর্কিত করেছেন। না পেরেছেন দলীয়ভাবে নিজের অবস্থা সুসংহত করতে, না পেরেছেন মানুষের মধ্যে নিজের ইমেজ তৈরি করতে।
এদের বাইরে কিছু মন্ত্রী এমপি রয়েছেন যাদের আর ভোট যুদ্ধ বা রাজনীতি করার মতো শারীরিক শক্তি সামর্থ্য নেই। বয়সের ভারে কাতর এইসব প্রবীণদের কারও কারও পুত্র বা পরিবারের নিকটজনেরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে তাদেরকে বিতর্কিতও করেছেন। আবার কোনো মন্ত্রীর জাতীয়ভাবে পরিচ্ছন্ন ইমেজ থাকলেও স্থানীয়ভাবে সংগঠন এবং মানুষ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় মনোনয়ন পাচ্ছেন না।
বর্তমান আরও কিছু এমপি রয়েছেন যাদের ভোটযুদ্ধে পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকলেও নির্বাচনী এলাকায় নিজস্ব সিণ্ডিকেট গঠন করে ব্যবসা বাণিজ্য ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে যেমন জনপ্রিয়তা হারিয়ে বিতর্কিত হয়েছেন তেমনি দলের মধ্যেও উপদলীয় কোন্দল তৈরি করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই বলেছেন জনমত জরিপে যারা জনপ্রিয়তা নিয়ে উঠে আসবেন তারাই মনোনয়ন পাবেন। ছয় মাস অন্তর অন্তর জরিপ হচ্ছে।
এদিকে দলীয় দলীয় সূত্র জানায়, শেখ হাসিনার তত্ত্বাবধানে একাধিক সেল, নানা সংস্থা ও নানা পথে জরিপ চালিয়েছেন। সেই জরিপে বর্তমান সংসদের প্রায় দেড়শ সদস্য মনোনয়ন দৌড়ে পিছিয়ে পড়েছেন।
আগামী নির্বাচন হবে সকল দলের অংশগ্রহণে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বীপূর্ণ আগামী নির্বাচন হবে। সেখানেই প্রায় দেড়শ আসনে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য গণমুখী প্রার্থীদের নাম ঠাই পাচ্ছে। এমনকি নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগের বাইরে থাকা এমন সব প্রার্থীদের টেনে নেওয়া হবে যারা ভোট যুদ্ধে আওয়ামী লীগের হয়ে শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে মাঠে নামতে পারবেন।