| ০২ আগস্ট ২০১৭ | ৮:৫৪ পূর্বাহ্ণ
চুয়াডাঙ্গা জেলায় প্রধান দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপিতে রয়েছে তীব্র কোন্দল। জেলায় আওয়ামী লীগ দুই ভাগে বিভক্ত। বিএনপির অবস্থা আরো খারাপ। অতীতে বিএনপিকে পাঁচ-ছয় খণ্ড হতে দেখা গেছে। এখনো জেলা বিএনপি তিন খণ্ডে বিভক্ত। জাতীয় পার্টির কমিটি থাকলেও প্রকাশ্যে তেমন কার্যক্রম নেই।
জেলায় দুটি আসনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির জন্য চ্যালেঞ্জ। ২০০৮ সালে আসন দুটি বিএনপি ও জামায়াত জোটের হাতছাড়া হয়ে যায়। সে কারণে তারা চাইবে আসনগুলো পুনরুদ্ধার করতে। আর আওয়ামী লীগ চাইবে আসন দুটি ধরে রাখতে।
সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে জাতীয় পার্টিও কিছুটা চাঙ্গা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গার জাতীয় পার্টি চমক দেখানোর অপেক্ষায় আছে বলে দাবি করেছেন দলটির এক নেতা।
আওয়ামী লীগ : ক্ষমতাসীন দলে কোন্দলের বহিঃপ্রকাশ দেখা যায় দলীয় কর্মসূচিতে। দুটি গ্রুপের নেতাকর্মীরা নিজ নিজ পক্ষের ব্যানারে কর্মসূচি পালন করে। জেলার চারটি পৌরসভা ও ৩০টি ইউনিয়ন পরিষদের বিগত নির্বাচনে প্রতিটিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ছিল। কোন্দলের কারণে জেলা পরিষদ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের দলীয় ও বিদ্রোহী প্রার্থীর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে।
জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে ২০১৬ সালের ১৩ এপ্রিল। যদিও সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০১৫ সালের ২ ডিসেম্বর। এ কমিটি দায়িত্ব পালন করবে ২০১৯ সাল পর্যন্ত। ৭১ সদস্যের এ কমিটির সভাপতি চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের হুইপ সোলায়মান হক জোয়ার্দার (ছেলুন)। কমিটির সাধারণ সম্পাদক আজাদুল ইসলাম আজাদ। দলে কোন্দল থাকলেও কমিটি নিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে জোরালো কোনো বিরোধ নেই। কোন্দলে বিভক্ত দুই গ্রুপের নেতারা এই কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
চার উপজেলা নিয়ে গঠিত চুয়াডাঙ্গা জেলায় জাতীয় সংসদের আসন দুটি। জেলায় আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করেন এই দুই আসনের দুই সংসদ সদস্য। তাঁদের মধ্যে সখ্য নেই। ফলে, সারা জেলায় আওয়ামী লীগ, এর সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতারাও দুই ভাগে বিভক্ত। দুই গ্রুপের ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা মামলা ও হামলায় জড়িয়ে পড়েছে। মাঝেমধ্যেই তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। মামলায় কারাগারেও গেছে অনেক নেতাকর্মী।
কোন্দলের কারণে বিগত পৌরসভা নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গার চারটি পৌরসভার দুটিতে (আলমডাঙ্গা ও দর্শনা) আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বাকি দুটিতে (জীবননগর ও চুয়াডাঙ্গা পৌরসভায়) দলটির ‘বিদ্রোহী প্রার্থী’ জয়লাভ করেন। একই অবস্থা দেখা যায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে। প্রায় প্রতি ইউনিয়নেই আওয়ামী লীগ ও এর ‘বিদ্রোহী প্রার্থী’ ভোটযুদ্ধে অংশ নেন। কোথাও দলীয় কোথাও বা ‘বিদ্রোহী প্রার্থী’ কিংবা বিএনপি প্রার্থী জয়লাভ করেন। তবে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জেলার বেশির ভাগ ইউনিয়ন রয়েছে আওয়ামী লীগ কিংবা দলটির ‘বিদ্রোহীর’ হাতে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, জেলা আওয়ামী লীগের এই কোন্দল কেন্দ্রীয় নেতারা অবহিত আছেন। গত ২৩ এপ্রিল ঢাকায় দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের কথা বলেন চুয়াডাঙ্গা জেলার দুই সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে। ওই বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ প্রমুখ। ওই বৈঠকে ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নিজেদের কোন্দল নিজেদেরই নিরসন করতে হবে। তা না হলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ার করেন তিনি। বৈঠকে কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনেই চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দার ও সহসভাপতি সংসদ সদস্য আলী আজগর টগর একে অন্যকে দোষারোপ করেন। সব শুনে কেন্দ্রীয় নেতারা দুজনকে একসঙ্গে চলার নির্দেশ দেন। এরপর পেরিয়ে গেছে প্রায় তিন মাস। কিন্তু কোন্দল নিরসন হয়নি।
জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য রফিকুল আলম রান্টু কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘দলে কোন্দল এখনো রয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি কোন্দল দূর করা সম্ভব না হলে আগামী সংসদ নির্বাচনে দলকে তার মাসুল দিতে হবে। ’
চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজগর টগর বলেন, ‘কোন্দল নিরসনের জন্যই আমাদের ঢাকায় তলব করা হয়েছিল। ঢাকা থেকে ফিরে আসার পর কী হয়েছে তা বলতে পারবেন দলের সাধারণ সম্পাদক। আপনারা তাঁকে জিজ্ঞাসা করুন। ’
এক প্রশ্নের জবাবে আলী আজগর বলেন, ‘আমি চুয়াডাঙ্গা-২ নির্বাচনী এলাকার প্রার্থী হওয়ার জন্য আবারও দলীয় মনোনয়ন চাইব। ’ চুয়াডাঙ্গা-২ নির্বাচনী এলাকায় আওয়ামী লীগের অনেকেই গণসংযোগ শুরু করেছেন। দলীয় কোন্দলের কারণেই এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে কি না জানতে চাইলে সংসদ সদস্য বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বড় দল। এখানে অনেকেই মনোনয়ন চাইবেন এটাই স্বাভাবিক। কোন্দলের কারণে এমন হয়েছে তা নয়। ’
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজাদুল ইসলাম আজাদ বলেন, ‘বিগত দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আমাকে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল। ওই নির্বাচনে জিতেছিলেন জামায়াতের প্রার্থী। আমার দলই ছিল আমার পরাজয়ের নেপথ্যে। দলীয় অনেক নেতাকর্মীকে আমার নির্বাচনী কাজে আসতে দেওয়া হয়নি। সেই অবস্থা এখনো আছে। কোন্দল মেটেনি। ’
বিএনপি : চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি তিন ভাগে বিভক্ত। যেকোনো দলীয় কর্মসূচি শহরের তিনটি স্থানে আলাদাভাবে পালন করা হয়। কর্মসূচির দিন দলের নেতাকর্মীদের চেয়ে পুলিশকে বেশি ব্যস্ত থাকতে দেখা যায়। নেতাকর্মীদের সমবেত হওয়ার আগেই শহরের তিনটি স্থানে পুলিশ অবস্থান নেয়। এরপর পুলিশের বাধার মুখেই তিন পক্ষ তাদের দলীয় কর্মসূচি শেষ করে।
দলের একাধিক নেতা অভিযোগ করেন, ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ নিয়ে পুলিশ দীর্ঘদিন তাদের কর্মসূচিতে বাধা দিয়ে আসছে। পুলিশের পক্ষ থেকে শর্ত দেওয়া হয়, তারা মিছিল করলে ৩০ গজের মধ্যে মিছিল শেষ করতে হবে।
বিএনপি নেতারা জানান, এর পাশাপাশি নেতাকর্মীদের নামে ‘হয়রানিমূলক’ মামলা রয়েছে। হাজার হাজার নেতাকর্মী ও সমর্থকের নামে মামলা। তাদের অনেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। কেউ কেউ ধরা দিয়ে কারাগারে রয়েছে। কেউ বা জামিনে মুক্তি পেয়েছে। এর পাশাপাশি বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলও দলটিকে ‘নিচের দিকে টেনে নামিয়ে রাখছে’।
বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দলের জেলা শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি এখনো হয়নি। আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে ২০১৪ সালের এপ্রিল মাসে। বিএনপি নেতা মুহাম্মদ অহিদুল ইসলাম বিশ্বাসকে এ কমিটির আহ্বায়ক করা হয়। ৫১ সদস্যের কমিটির এক নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক কেন্দ্রীয় যুবদলের শিল্পবিষয়ক সম্পাদক মাহমুদ হাসান খান বাবু। অন্য তিন যুগ্ম আহ্বায়ক হলেন খন্দকার আব্দুল জব্বার সোনা, ওয়াহেদুজ্জামান বুলা ও মুজিবুল হক মালিক।
তিন ভাগে বিভক্ত জেলা বিএনপির একাংশের নেতৃত্ব দেন আহ্বায়ক অহিদুল ইসলাম বিশ্বাস। অন্য এক অংশের নেতৃত্ব দেন কেন্দ্রীয় নেতা দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু। কমিটির সদস্য শরীফুজ্জামান শরীফ নেতৃত্ব দেন আরেক অংশের। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত থাকেন শামসুজ্জামান দুদু। তাঁর সহোদর আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ওয়াহেদুজ্জামান বুলা দলের একাংশের হাল ধরে আছেন। তাঁর বাড়িতেই দলের কার্যালয়। কেন্দ্রীয় কোনো কর্মসূচি এলে একাংশের নেতাকর্মীরা ওই বাড়িতেই একত্র হয়। বাড়ির সামনের রাস্তা থেকে শুরু হয় কর্মসূচির কার্যক্রম। একইভাবে আহ্বায়ক তাঁর নিজ এলাকা শহরের কেদারগঞ্জে পালন করেন দলীয় কর্মসূচি। কখনো কখনো কোর্ট কিংবা শহরের অন্য কোনো স্থানেও তিনি দলীয় কর্মসূচি পালন করে থাকেন। শরীফুজ্জামান শরীফ তরুণ নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে দলের কর্মকাণ্ড চালান। কর্মসূচি পালন করেন শহরের সুবিধাজনক স্থানে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির এ কোন্দল সংসদ নির্বাচনকেন্দ্রিক। বর্তমান আহ্বায়ক অহিদুল ইসলাম বিশ্বাসের ভাই শহিদুল ইসলাম বিশ্বাস ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। ওই সময় ষষ্ঠ (১৯৯৬ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি) ও সপ্তম (১৯৯৬ সালের ১২ জুন) জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শহিদুল ইসলাম বিশ্বাস ও শামসুজ্জামান দুদু দুজনই মনোনয়ন চান। তখনো শামসুজ্জামান দুদু কেন্দ্রীয় রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। ওই দুটি নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের মনোনয়ন পান শামসুজ্জামান দুদু। তিনি দুবারই জয়লাভ করেন। অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে (০২ অক্টোবর ২০০১) শামসুজ্জামান দুদু মনোনয়ন পাননি। মনোনয়ন পান শহিদুল ইসলাম বিশ্বাস। তিনি বিজয়ী হন। তবে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে (২৯ ডিসেম্বর, ২০০৮) দলীয় মনোনয়ন পান শহিদুল ইসলাম বিশ্বাসের ছোট ভাই অহিদুল ইসলাম বিশ্বাস। কিন্তু তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী সোলায়মান হক জোয়ার্দারের কাছে হেরে যান। জেলায় বিএনপির রাজনীতিতে এ দুটি পরিবারের প্রায় দুই যুগের কোন্দল আজও শেষ হয়নি। মাঝে এই দুই পরিবার ছাড়িয়ে দলীয় কোন্দল আরো ডালপালা মেলেছিল। চার-পাঁচ বছর আগেও জেলা বিএনপিকে পাঁচ খণ্ডে দেখা গেছে। এখন তা কমে তিন ভাগে দাঁড়িয়েছে।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির তিন খণ্ডের নেতাদের একই চাওয়া, দুটি আসনই দলের হাতে ফিরে আসুক। এই লক্ষ্য নিয়ে তাঁরা নিজেদের ঘর গোছাচ্ছেন, নতুন সদস্য সংগ্রহ করছেন এবং সমর্থকদের নিজেদের দিকে ধরে রাখার চেষ্টা করছেন।
দলের অনেক কর্মী-সমর্থক মনে করে, ৯০ দিনের পরিবর্তে আহ্বায়ক কমিটি পার করে এসেছে অনেক বেশি সময়। এখন হাতে আর একেবারেই সময় নেই। যত দ্রুত পূর্ণাঙ্গ জেলা কমিটি হবে, তত দ্রুত বিএনপিকে গতিশীল করা সম্ভব হবে এবং হারানো দুটি আসন ফিরে পাওয়ার পথ সুগম হবে।
বিএনপির কোন্দল ও বর্তমান প্রেক্ষাপট নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতা শামসুজ্জামান দুদুর ছোট ভাই জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ওয়াহেদুজ্জামান বুলা বলেন, ‘আহ্বায়ক কমিটিতে চারজন যুগ্ম আহ্বায়ক। তাঁরা কেউই আহ্বায়কের সঙ্গে নেই। দলে বিরোধ আছে। যেটুকু বিরোধ আছে তা মিটে যাওয়া সম্ভব। পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা হলেই অনেক দূরত্ব কমে আসবে। বিরোধ মিটে যাবে। ’
জেলা বিএনপির একটি গ্রুপের নেতা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শরীফুজ্জামান শরীফ বলেন, ‘২০১৪ সালে আহ্বায়ক কমিটি হয়েছে। নিয়মানুযায়ী ৯০ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করা সম্ভব হলে অনেক জটিলতা কেটে যেত। ’
আহ্বায়ক অহিদুল ইসলাম বিশ্বাস বলেন, ‘কোন্দলের নেপথ্যে আছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। তাঁরা স্থানীয় কিছু নেতাকে পদ-পদবি দেওয়ার কথা বলে এলোমেলো করে দিয়েছেন। অনেকেই কেন্দ্রীয় নেতাদের কথায় নাচছে। এ জন্য জেলার নেতাকর্মীরাও বিভ্রান্তিতে আছে। ’ তিনি আরো বলেন, ‘চুয়াডাঙ্গায় এখনো পর্যন্ত দুটি আসন। চুয়াডাঙ্গা ও আলমডাঙ্গা আলাদা আসন হওয়ার সম্ভবনা আছে। তাহলে আসন হবে তিনটা। দলের কাছে মনোনয়ন চাইব চুয়াডাঙ্গা আসনের প্রার্থী হিসেবে। ’
জাতীয় পার্টি : সংসদ নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গায় মূলত আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে লড়াই হয়ে থাকে। এ দুটি দল নির্বাচনে থাকলে তৃতীয় অবস্থানে থাকে জামায়াত। চতুর্থ অবস্থানে জাতীয় পার্টি। তবে দলটি চেষ্টা করছে আগামী সংসদ নির্বাচনে আরো শক্ত অবস্থান তৈরি করতে।
জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি সোহরাব হোসেন বলেন, তিনি দলীয় মনোনয়ন চাইবেন। ইতিমধ্যে তিনি দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন। তিনি স্বীকার করেন, দুটি আসনে তিনি ছাড়াও দলের একাধিক নেতা মনোনয়ন চাইতে পারেন।
জামায়াত : চুয়াডাঙ্গায় জামায়াতে ইসলামীর প্রকাশ্য সাংগঠনিক তত্পরতা নেই। তবে দলের শীর্ষস্থানীয় নেতারা ভেতরে ভেতরে সংগঠিত। দলের এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, চুয়াডাঙ্গার দুটি আসনের জন্য তাদের দলীয় প্রার্থীও চূড়ান্ত হয়ে গেছে। শিগগিরই তাঁদের নাম প্রকাশ করা হবে।