শেখ কনক | ২৯ আগস্ট ২০১৭ | ১০:৪৬ পূর্বাহ্ণ
আওয়ামী লীগ যদি পুনরায় ক্ষমতায় আসে সেটা সম্ভব হবে কেবলমাত্র বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার কারণে। আর যদি সেটা না হয় তবে তা হবে তারই দল আওয়ামীলীগ নামধারী কতিপয় নেতাকর্মীর কারণে।
স্বৈরাচারী লম্পট এরশাদ দীর্ঘ নয় বৎসর যে কোর্ট প্যান্ড টাই পরা চোরের দলদের ডাকাত বানিয়ে দিয়ে গেছে তাদের বংশধরেরা ডাকাতের ঘরের ডাকাত স্যারেরা টুপি মাথায় দিয়ে তাদের বাপ দাদার ব্যবসা যেভাবে চালিয়ে যাচ্ছে তাতে বলা যায় তাদের ‘রাজ্যের’ সরকার পরিবর্তন হয় নি। তারা সব সরকারের সময়ই স্যার। বড় স্যার কিংবা ছোট স্যার কিন্তু “স্যার”। আবার ছিটে ফোটা উচ্ছিষ্টের আশায় এদের পাহারা দিয়ে রাখে উল্লেখিত নেতা কর্মীরা। মাঝে মধ্যে যদি দু একবার গলায় কাটা আটকে যায়, কলা পড়া নিয়ে এগিয়ে আসছে সে সকল সাধু দরবেশেরা। কলা পড়া ঝাড়ফুঁকে কাজ না হলে পিছনে দু একজন বিশেষঞ ও আছেন। কোনকিছুতেই হজম করতে না পারলে সব দোষ চাপিয়ে দিচ্ছে ঐ সকল নেতাকর্মীদের উপর। পাবলিক নামক জনসাধারন ও বিশ্বাস করছে সে কথা কারন ওনরা যে কোর্ট টাই পরা ভদ্রলোক। এরা চুরি ডাকাতি করতে পারে নাকি! লক্ষ্য করবেন কোথাও কোন অপকর্ম হলে অপকর্মকারীদের প্রথম শেষ এবং একমাত্র পরিচয় দেওয়া হয়, এরা অমুক দলের অমুক। যেন ওদের বাপ মা নেই। আসলে ওদের চলনে বলনে কর্মকান্ডে সে রকমই মনে হয়! রাজৈনতিক দল তো কোন শিল্প কলকারখানা কিংবা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নয়। ছাত্র যুবক একজন শ্রমজীবি মানুষ তার স্ব স্ব কাজকর্ম ফেলে যখন ফুলটাইম রাজনীতিক বনে যান এবং বেশ ডাটে ফাটে চলেন, বাজার থেকে বড় মাছটি কিনেন সাধারন জনগনের তখন সন্দেহ হওয়া মোটেও অমুলক নয়।
এ সরকারের সাফল্য অনেক। যা দেশ বিদেশে স্বিকৃত। অনেক রথী মহারথীরা ও উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বাংলাদেশ অনুকরণীয় বলে মন্তব্য করেছেন। রাষ্ট্র নায়ক হিসেবে শেখ হাসিনার দ্ব্যর্থহীন ভাবে প্রশংসাও করেছেন, তারপরেও আওয়ামীলীগকে পুনরায় ক্ষমতায় আসা নিয়ে দু:শ্চিন্তা করতে হয় কেন? হ্যা অপকর্ম সব সরকারের সময়ই হয়েছে। হয়ছে মানে অনেক বেশিই হয়েছে। রাতারাতি নেদারল্যান্ডের মত কয়েদির অভাবে বাংলাদেশের জেলখানা বন্ধ হয়ে যাবে সেটা কেহ আশা করে না। কিন্তু আওয়ামীলীগের সরকার ক্ষমতায় থাকতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মন্দিরের জায়গা দখল, মূর্তি ভাংচুর, সংখালঘুদের বাড়িঘরে লুটপাট হলে সেটা স্বাভাবিক ভাবেই প্রচার পাবে বেশি। আর তার সাথে যদি দলের নেতা কর্মিদের সংশিষ্ঠতা থাকে তাহলে সেটা হয় আগুনে ঘি ঢালা।
ড: কামাল, মাহাফুজ আনাম, মতিয়ার রহমান কিংবা উত্তর পাড়া দক্ষিন পাড়া যাই বলুন না কেন পৃথিবীর অন্যতম শক্তিশালী পাকিস্তানী সেনাবাহিনীকে বঙ্গবন্ধুর যে দল পরাজিত করেছিল সে দলকে কেবল সেভাবে সংগঠিত করুন। এ সব কসমেটিক আওয়ামীলীগার নিস্কৃয় করুন। জনগনের দল আওয়ীলীগকে জনদরদী নেতার নের্তৃত্বে পরিচালিত করুন। পৃথিবীর কোন ষড়যন্ত্র ই আওয়ামীলীগের ক্ষমতায় আসা ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না। জনগনই আওয়ামীলীগের প্রধান শক্তি এবং কেবল জনগনই পারে সকল চক্রান্ত নস্যাৎ করে দিতে।