অনলাইন ডেস্ক | ৩১ আগস্ট ২০১৭ | ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
সবে সবে পিরিয়ড হওয়া শুরু হয়েছিল ছোট মেয়েটির। অজানা ভয়, শারীরিক কষ্ট – সব মিলিয়ে আর পাঁচটা মেয়ের মতোই তখন তার একটু দিশেহারা ভাব। ঠিকমতো স্যানিটারি ন্যাপকিন সামলাতে শিখে ওঠেনি। জামাকাপড়ে লেগে যেত রক্তের দাগ। এই দাগই যে তার মৃত্যুর কারণ হয়ে উঠবে তা বুঝতে পারেনি সপ্তম শ্রেণীর এই মেধাবী ছাত্রী।
ভারতের তামিলনড়ুর পালায়ামকোট্টাইয়ের সেন্থিল নগর স্কুলে পড়ত ১২ বছরের মেয়েটি। একদিন ক্লাস চলাকালীন তার স্কুল ইউনিফর্মে লেগে যায় পিরিয়ডের রক্তের দাগ। দাগ লাগে তার বসার বেঞ্চেও। বন্ধুদের কাছ থেকে এ কথা জেনে ক্লাস টিচারের কাছে বাথরুমে যাওয়ার অনুমতি চায় ভীত-সন্ত্রস্ত মেয়েটি। কিন্তু ন্যূনতম সহানুভূতির বদলে সেখানে মেলে কড়া বকুনি। সামান্য একটা স্যানিটারি ন্যাপকিন কেন সে সামলাতে শেখেনি, তা নিয়ে গোটা ক্লাসের সামনে অপমান করা হয় তাকে। এরপর ওই শিক্ষিকা তাকে প্রিন্সিপালের সামনে নিয়ে গেলে সেখানেও আর এক প্রস্থ বকাঝকা করা হয় ছাত্রীকে।
প্রচণ্ড অভিমানে ঘরে ফিরে প্রতিবেশীর বাড়ির ছাদ থেকে ঝাঁপ দেয় ছোট মেয়েটি। হতভম্ব বাবা-মা মেয়ের আত্মহত্যার কারণ প্রথমে বুঝতেই পারেননি। পরে তার ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়। সেখানে সব কথা জানিয়েছে সে। এই ঘটনার প্রতিবাদে স্কুলে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকরা। অভিযুক্ত শিক্ষিকার বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা রুজু করেছে পুলিশ।