
ডেস্ক | রবিবার, ১৪ জুন ২০২০ | প্রিন্ট
গতবছরই তার অভিনীত শেষ সিনেমা ‘ছিছোড়ে’ শিখিয়েছিল আত্মঘাতী না হতে। দর্শকমহলে দারুণ সাড়া ফেলেছিল ছবিটি। কিন্তু বছর ঘুরতে না ঘুরতেই উলটপুরাণ। রিল লাইফের মহেন্দ্র সিং ধোনি আর আমাদের মধ্যে নেই। সামনে উজ্জ্বল ভবিষ্যত ছেড়ে একসময় অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিক পা বাড়িয়েছিলেন সুশান্ত। ফিজিক্সে ন্যাশনাল অলিম্পিয়াড জেতা সুশান্ত ছিলেন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের একজন অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র। অল ইন্ডিয়া ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ট্রান্স পরীক্ষায় সপ্তম র্যাংকই তার প্রমাণ।
দিল্লি কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মেকানিক্যালের ছাত্র সুশান্তের কাছে হাতছানি ছিল আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার সুযোগ। ইঞ্জিনিয়ারিংইয়ের তৃতীয় বর্ষ অবধি সব ঠিকঠাকই চলছিল। এরপরই অভিনয়ের ভূত চাপল মাথায়। অভিনয় তার মজ্জায়-মজ্জায় আছে কীনা সেটা তখনও জানেনা কেউ। তবু ইচ্ছের পিছনে ‘লাক ট্রাই’ করতে কসুর করেননি তিনি।
ইতিবাচক দিক এটাই যে অভিনেতা হওয়ার লক্ষ্যে তিনি যে পা বাড়িয়েছিলেন তাতে পূর্ণ সমর্থন ছিল পরিবারের। পড়াশোনায় ফাঁকি দিয়ে শিয়ামক দাবারের ডান্স গ্রুপ কিংবা ব্যারি জনের অভিনয় ক্লাসে তখন অনেক বেশি করে দেখা যেত সুশান্তকে। সুশান্ত একবার বলেছিলেন, ‘বাকি জীবনটা কম্পিউটার স্ক্রিনের সামনে বসে মেশিনপত্র নিয়ে কাটানো আমার দ্বারা হতো না। আমি অভিনয়ের মধ্যে দিয়ে মানুষের সঙ্গে মিশে যেতে চেয়েছিলাম।’
তার ডান্স ট্রুপে সুশান্তের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট হয়ে দাবরা সুশান্তকে ২০০৬ কমনওয়েলথ গেমসের অন্তিম অনুষ্ঠানে পারফর্ম করার সুযোগ করে দেন। ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডের ব্যাক-আপ ডান্সার হিসেবে কাজ শুরু করেন সুশান্ত। সেটা ২০০৬। এরপর দাবরার কথামতোই মুম্বাইয়ে পা রাখেন তিনি।
ধোনির বায়োপিকে ধোনিরই চরিত্রে অভিনয় করে বলিউড অভিনেতা সুশান্ত বুঝিয়েছিলেন কতটা প্রতিভাবান তিনি। রিল লাইফের ধোনির সঙ্গে রিয়েল লাইফের ধোনির মধ্যে পার্থক্য করে উঠতে পারেননি সিনেপ্রেমী দর্শকেরা।
প্রথম ছবি ২০১৩ ‘কাই পো চে’। এর আগে ছোট পর্দায় ‘পবিত্র রিস্তা’, ‘কিস দেশ মে হ্যায় মেরা দিল’ ধারাবাহিকের মধ্যে দিয়েই বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠা সুশান্তের। সম্পূর্ণ নিজের পরিচিতিতেই ইন্ড্রাষ্টিতে জনপ্রিয় হয়েছিলেন সুশান্ত।
Posted ৮:৪১ অপরাহ্ণ | রবিবার, ১৪ জুন ২০২০
ajkerograbani.com | shalauddin Razzak
.
.
Archive Calendar