
ডেস্ক | মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি ২০২০ | প্রিন্ট
ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ইউক্রেনের বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর ‘আন্তর্জাতিক ভিলেনে’ পরিণত হয়েছে ইরান। বিদেশে তো বটেই, ইরানের মধ্যেও বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় সরকারের ভূমিকা নিয়ে বিক্ষোভ চলছে। এমন পরিস্থিতিতেই ইরানের পক্ষে গর্জে উঠলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উসকে দেওয়া উত্তেজনার কারণেই ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ইউক্রেনের বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
সোমবার কানাডার গ্লোবাল টেলিভিশনে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে ট্রুডো বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি উত্তেজনা উসকে না দিত তবে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রে বিমানটি বিধ্বস্ত হতো না। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আজ খুবই পরিষ্কার যে একটি পরমাণু অস্ত্রবিহীন ইরান যেমন দরকার, তেমনি আঞ্চলিক উত্তেজনাও নিয়ন্ত্রণে রাখা উচিত। সাম্প্রতিক এই উত্তেজনা যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপের মাধ্যমেই ডেকে আনা হয়েছে।
গত ৮ জানুয়ারি তেহরান থেকে উড্ডয়নের পরে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ইউক্রেন এয়ারলাইনসের বোয়িং ৭৩৭ বিধ্বস্ত হয়। এতে বিমানটির ১৭৬ যাত্রীর সবাই নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে ৫৭ জন কানাডীয়। ইরান শুরুতে এ ঘটনায় সংশ্লিষ্টতার কথা অস্বীকার করেছিল। বিশ্বনেতাদের মধ্যে ট্রুডোই প্রথম নিরপেক্ষভাবে জানান যে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে বিমানটি ভূপাতিত হয়েছে। আন্তর্জাতিক চাপের মুখে ইরানও বিষয়টি স্বীকার করে নেয়।
এ ঘটনার জের ধরে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যখন নতুন করে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে ইরান, ঠিক তখনই ট্রুডো তাদের পক্ষ নিয়ে কথা বললেন। সেই সঙ্গে তিনি এটাও প্রমাণ করলেন যে, সত্য কথা বলার ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বমোড়ল হিসেবে পরিচিত দেশগুলোকে থোড়াই পরোয়া করেন।
Posted ২:৫৮ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি ২০২০
ajkerograbani.com | shalauddin Razzak
.
.
Archive Calendar