অনলাইন ডেস্ক | ০৫ এপ্রিল ২০১৭ | ৬:০০ অপরাহ্ণ
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের পানি ব্যবস্থাপনা বিভাগে কাজ করেন নিক ব্যানোস ও লিওনার্দো সানচেজ। ওই অঞ্চলের জলাভূমি রক্ষার দায়িত্ব তাঁদের। সঙ্গে বাড়তি দায়িত্ব, স্থানীয় বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণীর জন্য হুমকি পাইলট অজগরের বংশ উজাড়।
স্থানীয় সময় শনিবার রোজকার মতো দায়িত্ব পালনে বের হয়েছিলেন ব্যানোস ও সানচেজ। হঠাৎ জলার ধারে ঝোপের মধ্যে একটি অজগর তাঁদের নজরে পড়ল। সাপটির আকৃতি দেখে তো তাঁদের চোখ চড়কগাছ। পুরো ১৫ ফুট লম্বা সেটি! ওজন ৬৫ কেজি!
অজগরটি দেখে আর দেরি করেননি সানচেজ। সেটি ধরতে লাফিয়ে পড়লেন। সাপ-মানুষে লড়াই চলে কিছুক্ষণ। এরপর একজন সাপটির মাথা ধরেন। আরেকজন ধরেন লেজ। কিছুক্ষণের মধ্যেই বশে আসে অজগরটি।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিবিএস নিউজকে ব্যানোস বলেন, ‘সাপটি ধরতে আমাদের তুমুল লড়াই করতে হয়েছিল। এটার আকৃতি দেখে মনে হয়েছে, অজগরটি ৮০ কেজি ওজনের একজন মানুষকে অনায়াসেই গিলে খেতে পারে।’
ব্যানোস আরো বলেন, পাইলট প্রজাতির অজগরের দৈর্ঘ্য সাধারণত চার ফুট বা এর কম হয়। এগুলোকে ধরে সংরক্ষিত নিরাপদ বনাঞ্চলে ছেড়ে দিতে হয়। চার ফুটের অজগর ধরার জন্য সরকারের তরফে ৫০ মার্কিন ডলার পাওয়া যায়। আর এর পরের প্রতি ফুটের জন্য জন্য বাড়তি ২৫ ডলার করে পাওয়া যায়। কিন্তু এটি একেবারে ১৫ ফুট লম্বা।
ব্যানোস আরো বলেন, ‘আমি কখনো অজগর হত্যা করিনি, করতেও হয়নি। আসলে আমি করতেও চাইনি। কিন্তু আমাদের বিষয়টি বড় পরিসরে ভাবতে হবে। পাইলট অজগরের তুমুল বংশবৃদ্ধির কারণে এ অঞ্চলের অন্য সব প্রাণী এখন হুমকির মুখে। সবাই অজগরের পেটে যাচ্ছে, আর সংখ্যায়ও তারা দিন দিন বাড়ছে। এদের কবল থেকে অন্যান্য প্রজাতিকে রক্ষা করতেই চেষ্টা করছি আমরা।’