আসিফ হাসান কাজল- | ১৭ জুলাই ২০১৮ | ১২:১৪ অপরাহ্ণ
মাগুরায় বিদ্যুৎ বিভাগের কর্তব্যরত কর্তাব্যক্তিদের প্রত্যক্ষ ভূমিকায় চলছে রমরমা বৈদ্যুতিক ঘুষ বাণিজ্য। সংযোগ গ্রহন থেকে কর্তন, খুটি স্থাপন, সংযোগের তার স্থানান্তর সহ প্রতিটি গ্রাহককে আবেদনের জন্যও গুনতে হচ্ছে কয়েক গুন বাড়তি টাকা।
প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে অনুসন্ধানে দেখা যায় মাগুরা ইছাখাদা এলাকায় মহাসড়কের পাশে অবস্থিত ভিশন এগ্রো লিমিটেড কোম্পানীর নব নির্মিত কারখানায় বৈদ্যুতিক সংযোগ প্রদানের আশ্বাসে ইতিমধ্যেই মাগুরা বিদ্যুৎ বিভাগের সাথে ২ লক্ষ টাকা আদান-প্রদান করা হয়েছে।
এই পরিমাণ টাকা মোহাম্মদ হাসান ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলীর হাতে টাকা জমা দিয়েছেন বলেও জানান। দীর্ঘদিন ধরেই মাগুরা বিদ্যুৎ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী মোহাম্মদ মঞ্জুরুল ইসলাম ও উপ সহকারী প্রকৌশলী হিমাদ্রি পোদ্দারের যোগসাজশে এই দুর্নীতি সংগঠিত হয়েছে বলেও জান যায় । ভিশন এগ্রো লিমিটেড এর কর্ণধার মোহাম্মদ হাসানকে প্রশ্ন করার এক পর্যায়ে তিনি স্বীকার করে বলেন যে সর্বোমোট ৪ লক্ষ টাকায় মাগুরা বিদ্যুৎ বিভাগের কর্তাব্যক্তিদের সাথে এই চুক্তি সংগঠিত হয়েছে । কেন এত টাকা দিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ নিবেন এমন প্রশ্নে জানান, কারখানা সংযোগ, ব্যক্তি পর্যায়ে ট্রান্সফরমার কিনতে ও আবেদন বাবদ প্রকৌশলীরা এই পরিমান অর্থ দাবী করেন।
সম্প্রতি একটি ফিডারে বিদ্যুৎ বিভাগের উপ সহকারী প্রকৌশলীর সৃষ্ট এক দূর্ঘটনায় বিদ্যুৎ শ্রমিকের অঙ্গহানি হওয়ায় হিমাদ্রি পোদ্দারকে অন্য ফিডারে বদলি করা হয়েছিল, কিন্তু ৪ নং ফিডারে নতুন নতুন কাজ হওয়ায় নির্বাহী প্রকৌশলী অসৎ ঘুষ বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে গত ৫ দিন আগে পূণরায় হিমাদ্রি পোদ্দারকে নিযুক্ত করেছেন।
এই ঘটনায় উপসহকারী প্রকৌশলী হিমাদ্রি পোদ্দার কে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে ঘুষের প্রশ্নে তিনি বলেন, এক্সেন স্যার যদি টাকা নিয়ে থাকেন তা আমার জানার কথা নয়।
এই ঘটনায় (ওজোপাডিকো) ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড এর যশোর ও খুলনা অঞ্চলের ঊর্ধতন কর্মকর্তাদের কে অবিহিত করা হলে তারা দূর্নীতির বিষয়টি আমলের সাথে বিবেচনা করে দ্রুত ব্যাবস্থা গ্রহণ করবেন বলে দৈনিক আজকের অগ্রবাণীকে জানিয়েছেন।
এই ঘটনায় এক্সেন মঞ্জুরুল ইসলাম কে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি তা রিসিভ করেন নাই।