নাজমুস সাকিব | ০৪ অক্টোবর ২০১৭ | ৫:০৫ অপরাহ্ণ
ভিসিআর/টেপ রেকর্ডারের আমলটা ঠিক আমাদের ছিল না, আমাদের চাচাদের ছিল! দোকান থেকে বিভিন্ন মুভির বিশাল বিশাল ক্যাসেট ভাড়া করে আনত আর আমরা কোকোলা ওয়েফার গালে দিয়ে তাদের পাশে বসে বসে তা দেখতাম! বিশেষ রোমান্টিক বা এ্যাকশান দৃশ্যে তাদের মুখের আনন্দধ্বনি তখন রিলেট করতে পারতাম না যা এখন পারি। কখনো কখনো রোমান্টিক দৃশ্য একটু গভীর দিকে মোড় নিলে আমাদের পাশের রুমে পাঠিয়ে দেয়া হত পানির জগটা নিয়ে আসার জন্যে!
তবে আমাদের আমলটা শুরু হয় এলাকার দোকান থেকে সিডি/ডিভিডি ভাড়া নেয়ার মধ্য দিয়ে। খাতায় নাম লিখে সাইন করে সিডি নিয়ে বাসায় আসতাম, সপ্তাহের শেষে বাসার বারান্দার নিচে এসে দোকানদার ডাক দিত ” এ বাসায় একটা সিডি ছিল!” এছাড়াও ৫০ টাকা দিয়ে ১ টা সিডি কিনে পাড়ার ১ মাত্র সাইবার ক্যাফেতে গিয়ে তা মোবাইলে mp3 করে ঢোকানোর জন্য খরচ করেছি ১০০ টাকা!
আমার চাচা ও তাদের বন্ধু-বান্ধবদের দেখেছি কম্পিউটারের বিভিন্ন কোর্স করার জন্যে ১০-৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত তাদের বাবাদের কাছ থেকে নিয়েছে। আফসোস! সফটওয়্যার/ সিস্টেম আপডেট ও ইউটিউব টিউটোরিয়ালের কল্যানে সেসব কোর্স আজ মাঠে মারা পড়েছে! আমার ১ চাচার কর্পোরেট পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশান এখন আমি ডিজাইন করে দেই কোন প্রকার কোর্স ছাড়াই!
ইন্টারনেট বা পিসির ব্যবহার এরকরম অনেক ব্যবসা বা পেশাকে আজ বিলীন করে দিয়েছে আবার একইসাথে অনেক পেশা ও ব্যবসাকে করেছে গতিশীল তবে ১ টা পেশা এখনও সেই আগের মতই আছে এতে শত শত পিসি ও অনলাইন সিস্টেমের আগমন ঘটা সত্তেও তা হল পুলিশ পেশা! এখানে ২০১০ সালে অনলাইন জিডি পদ্ধতি চালু হলেও শুধুমাত্র উপরি আয় বন্ধের আশংকায় এর ব্যবহার এখনও শুরু করা হয়নি!
আমি যেভাবে জিডি করেছি, সেভাবে জিডি করেছেন আমার বাবা, তার বাবা, তার বাবার বাবা!