| ১৮ আগস্ট ২০১৭ | ১:০৮ পূর্বাহ্ণ
ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার হওয়ার যোগ্যতা না থাকলেও অনেকে নিজের টাকায় অন্যকে দিয়ে অমক ভাইকে এমপি চাই লিখে পোস্টার সাঁটাচ্ছে নিজ নির্বাচনি এলাকায়।
আওয়ামী লীগ-বিএনপির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাদের বাইরেও অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর বিপুলসংখ্যক নেতার ইচ্ছা এমপি প্রার্থী হওয়ার। ওয়ার্ড, থানা বা জেলা পর্যায়েরও অনেক নেতা এমপি হতে যান।
সাবেক বা বর্তমান মন্ত্রী-এমপির সঙ্গে টেক্কা দিয়ে আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা। দেশজুড়ে রাস্তায় রাস্তায়, নগর-শহর থেকে গ্রামীণ জনপদেও টানানো হচ্ছে তাদের নামে ডিজিটাল ব্যানার ও রঙিন পোস্টার। প্রচারণা চলছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকসহ অনলাইনভিত্তিক বিভিন্ন মাধ্যমেও।
অযোগ্যদের ভিড়ে যোগ্য নেতারাও এখন কোণঠাসা। রাজনীতিতে সর্বত্রই এখন অযোগ্যদের দৌড়ঝাঁপ বাড়ছে। ৩০০ সংসদীয় আসনের প্রতিটিতেই দুই দলের অন্তত ডজনখানেক নেতা এমপি প্রার্থী হওয়ার জন্য নানামুখী তৎপরতা চালাচ্ছেন।
মনোনয়ন প্রত্যাশীদের বক্তব্য, ‘রাজনীতি করছি মানুষের সেবা করার জন্য। আপদ-বিপদে এলাকার সব মানুষের পাশে দাঁড়াই। দলীয় নেতা-কর্মীরা দুর্দিনে আমাকে পাশে পান। জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হলে এই সেবা আরও বৃদ্ধি পাবে। ’
সম্প্রতি মারা যাওয়ার আগে আওয়ামী লীগের প্রবীণ পার্লামেন্টারিয়ান সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত আক্ষেপ করে বলেছিলেন, ‘এমপি কি কাঁচকি মাছের ভাগা? সবাই এমপি হতে চায়। আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক আদর্শ, চিন্তা ও চেতনায় লালন করে অসাধারণ সাংগঠনিক দক্ষতায় একসময় যারা গণমানুষের আস্থা অর্জন করতেন তারাই দলের মনোনয়ন চাইতেন। তাদের কোনো ডিজিটাল ব্যানার, পোস্টারের প্রয়োজন হতো না। মানুষের হৃদয়ে, দলীয় কর্মীদের মুখে মুখে তাদের নাম উচ্চারিত হতো। একেকটি আসনে এক এক দলের দু-তিন জনের বেশি কেউ মনোনয়নও চাইতেন না। অসংখ্য আসনে এক এক দলের একজন করেই মনোনয়ন চাইতেন, যার সম্ভাবনা দলের তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত নিশ্চিত ছিল। ’