অনলাইন ডেস্ক | ০২ জুলাই ২০১৮ | ১১:২৩ পূর্বাহ্ণ
কনের বয়স ১১ আর বরের বয়স ৪১। এমনই এক অসম বয়সের বিয়েতে মালয়েশিয়াজুড়ে সমালোচনা ঝড় উঠেছে। এ ঘটনায় সব বিয়ের ক্ষেত্রেই সর্বনিম্ন বয়স ১৮ করার দাবি উঠেছে দেশটিতে। খবর বিবিসির।
অবশ্য থাই ওই শিশুটির বাবা-মা জানিয়েছেন, একটি শর্তে তারা তাদের মেয়েকে মালয়েশীয় ওই ব্যক্তির তৃতীয় স্ত্রী হওয়ার অনুমতি দিয়েছেন। আর সেই শর্তে হচ্ছে যে তাদের মেয়ে ১৬ বছর পর্যন্ত তাদের কাছেই থাকবে।
মালয়েশিয়ার সরকার বলছে, তাদের এখানে এ ধরনের কোনও বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়নি। বরং এটি থাইল্যান্ডে ঘটেছে এবং তারা ঘটনাটির তদন্ত করছে। এদিকে শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ বলছে, এটা ‘জঘন্য ও অগ্রহণযোগ্য’। ইউনিসেফের মালয়েশীয় প্রতিনিধি মারিয়ান ক্লার্ক-হাটিং বলেছেন, এতে কোনোভাবেই শিশুটির ভালো হতে পারে না
ওই বিয়ের পর ছবিতে দেখা গেছে, ৪১ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি শিশুটির হাত ধরে রেখেছে। কিন্তু ওই ব্যক্তির ইতোমধ্যে দুজন স্ত্রী রয়েছেন এবং তাদের সঙ্গে তার ছয় সন্তানও রয়েছে। মিডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, ওই শিশুদের বয়স পাঁচ থেকে ১৮-র মধ্যে।
থাই এই পরিবারটি মালয়েশিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় কেলানটান প্রদেশে একটি রাবার বাগানে কাজ করে। মালয়েশিয়ার অধিকারকর্মীরা বলছেন, ওই ব্যক্তি একজন সমৃদ্ধশালী ব্যবসায়ী আর ওই শিশুটির পরিবার দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাস করেন।
মালয়েশিয়ার আইন অনুযায়ী, কারও বয়স ১৮ হলেই তাকে বিয়ে দেয়া যাবে। যদিও ইসলামি শরিয়া আদালত চাইলেই ১৬ বছরের কম বয়সীদের ক্ষেত্রেও বিয়ে অনুমোদন দিতে পারে। তবে মালয়েশিয়ার সরকার বলছে, স্থানীয় কোনও ধর্মীয় কর্তৃপক্ষের কাছে ওই বিয়ের কোনও রেকর্ড নেই।
মালয়েশিয়ার নারী, পরিবার ও কমিউনিটি উন্নয়ন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ধর্মীয় আদালতের অনুমতি ছাড়া এ বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকলে এটি অবৈধ এবং ওই ব্যক্তিকে এজন্য ছয় মাসের জন্য জেল খাটতে হতে পারে।
একজন অধিকারকর্মী সৈয়দ আজমি আলহাবশি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, ১১ বছরের মেয়েকে বিয়ে করা একজন শিকারি বা শিশু যৌন নিপীড়নকারীর মতো আচরণ। বার্তা সংস্থাটি জানাচ্ছে, মালয়েশিয়ায় ১৫ বছরের নিচে ১৬ হাজার বিবাহিত মেয়ে রয়েছে।