অনলাইন ডেস্ক | ১০ অক্টোবর ২০১৭ | ৮:০৫ অপরাহ্ণ
বাজারে এখন হাজারো গেম। মাঠের শিশু-তরুণরা উঠে এসেছে ঘরে কম্পিউটারের সামনে। তারা এখন তাদের খেলার চাহিদা পূরণ করে কম্পিউটারে, মোবাইলে। ব্যবহারকারীর চাহিদা বিবেচনা করে প্রযুক্তিবিদরা গেমের ডিজাইন করে। গেমের চরিত্রগুলোর রূপ দেয়। বাজারে দেখা গেছে কম্পিউটার গেমগুলোর মধ্যে একটা বড় সংখ্যক নারী চরিত্রের উপস্থিতি। আর এসব স্থানে নারী চরিত্রগুলোকে উপস্থাপন করা হয় অর্ধনগ্ন সেক্সি পোশাকে। কখনো কখনো খুবই নিরীহ হিসেবে। আবার অনেক গেম আছে যেখানে পয়েন্ট অর্জনের মাধ্যমে নারী চরিত্রের পোশাক খোলার ব্যাপার তাকে। গেমের চূড়ান্ত পর্যায়ে কেউ পৌঁছতে পারলে তার সামনে কম্পিউটারের মধ্যে থাকা নারী চরিত্রটি তার শরীরের সব পোশাক খুলে ফেলে। আর এটাই গেমারের পুরস্কার। কিন্তু কেন সব নারী চরিত্রগুলোকে এভাবে উপস্থাপন করা হয়?
জরিপ বলছে, গেম তৈরির ক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ খুবই নগণ্য। তাই পুরুষরা তাদের পছন্দ অনুযায়ী নারী চরিত্রগুলোকে সাজায়। এছাড়া গেম খেলায় নারীর চেয়ে পুরষের সংখ্যা বেশি। জার্মানিতে নারী ডিজাইনারের সংখ্যা মাত্র ২০ শতাংশ৷ সে কারণে চাহিদা থাকা সত্ত্বেও গেম ডেভেলপের ক্ষেত্রে নারীর পছন্দকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে না।
পুরুষ গেমাররা পছন্দ করেন অ্যাকশন। তবে মেয়েদের পছন্দ এমন গেম, যা তাঁদের জন্য আরামদায়ক এবং অনেকটা কমিউনিটি নির্ভর হয়। সংশয়, মারামারি আর প্রতিযোগিতায় ভরপুর গেম তাঁদের বিশেষ পছন্দ নয়। বরং সামাজিক গেম, যেগুলো ফেসবুকের মতো বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ সাইটে অন্তর্ভুক্ত আছে এবং বন্ধুদের সঙ্গে খেলা সম্ভব, সেগুলোই খেলে থাকেন মেয়ে গেমাররা।
ডিজাইনের ক্ষেত্রে মেয়েদের উপস্থিতি কম হওয়ার কারণে গেমগুলোর নারী চরিত্রগুলোকে হয় বাড়াবাড়ি রকম সেক্সি, না হয় অসহায় মানুষ হিসেবে দেখানো হয়৷ নারী ডিজাইনারের সংখ্যা বাড়লে এই পরিস্থিতির পরিবর্তন হতে পারে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
কেন কম? জার্মানির আরেক গেম ডিজাইনার ক্যারোলিন গেপার্ট৷ তাঁর নিজের একটি গেম তৈরির কোম্পানি রয়েছে, যার নাম ‘ইয়ো মেই’৷ শুরুতে কাজ করতেন একটি কোম্পানিতে৷ সেখানে কাজ শিখে পরে নিজেই নিজের সংস্থাটি খোলেন৷ কিন্তু তিনি বুঝে উঠতে পারেন না, কেন গেম শিল্পে মেয়েদের উপস্থিতি এতটা কম।