
ডেস্ক | বুধবার, ১৮ মার্চ ২০২০ | প্রিন্ট
করোনাভাইরাসে ইতালিতে আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। গতকাল মঙ্গলবার ইতালিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৫২৬ জন, যা আক্রান্তের দিক দিয়ে একদিনে সর্বোচ্চ রেকর্ড। অন্যদিকে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৫০৩ জনে।
গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণ করেছে ৩৪৫ জন। এভাবে চলতে থাকলে আগামী দুই দিনে মৃত্যুর সংখ্যা চীনকেও ছাড়িয়ে যাবে। ইতালিতে করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৩১ হাজার ৫০৬জন, সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন দুই হাজার ৯৪১জন।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী জোসেপ্পে কন্তে করোনা সমস্যা উত্তরণে বিভিন্ন পদক্ষেপ অব্যাহত রেখেছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য, করোনা মোকাবেলার জন্য ২৫ বিলিয়ন ইউরো অতিরিক্ত জরুরী বাজেট ঘোষনা করেছেন।
ইতালিতে এখন পর্যন্ত রেকর্ড মৃত্যু লোম্বারদিয়া প্রদেশে। এখানে মোট মৃত্যুবরন করেছেন এক হাজার ৬৪০ জন। শুধু মঙ্গলবারই এই প্রদেশে মৃতুবরন করেছেন ২২০ জন। মঙ্গলবার নতুন একটি হাসপাতাল তৈরির পরিকল্পনায় নাগরিক সুরক্ষা বিভাগের প্রধান বার্তোলাসো মিলানো যান, সেখানে ফেয়ারা মিলানো এক্সিবিশন সেন্টারে কর্তৃপক্ষ জরুরিভিত্তিতে একটি অস্থায়ী হাসপাতাল নির্মাণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
প্রতিদিনই পরিস্থিতি আরও জটিল হচ্ছে, দেশের এ পরিস্থিতিতে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী সিলভিও বার্লুসকোনি ৪০০ নিবিড় পরিচর্যা ইউনিট ওয়ার্ড তৈরি এবং বিভিন্ন জরুরি বিষয়ের জন্য ১০ মিলিয়ন ইউরো সাহায্যের ঘোষনা দিয়েছেন।
স্থানীয় বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, করোনায় প্রাণ হারানো পরিবারের সকল সদস্যরাই কোয়ারেন্টাইনে। বাসার দরজার নিচ দিয়ে তারা পেপার ওয়ার্ক সারছেন। শেষকৃত্য ছাড়াই সমাহিত হওয়া প্রিয়জনদের ছবি দরজার নিচ দিয়েই পাঠাচ্ছেন তাদের সমাধীতে স্থাপনের জন্য। ঘরে ঘরে হৃদয়বিদারক ট্রাজেডি!
সাংহাই থেকে চীনা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের দ্বিতীয় দলটি ৯ টন চিকিৎসা সরঞ্জাম নিয়ে ১৮ মার্চ বুধবার রওয়ানা হচ্ছে ইতালির বাণিজ্যিক রাজধানী মিলানের উদ্দেশে। কৃত্রিমভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস চালু রাখার যন্ত্র এবং মনিটর ছাড়াও অন্যান্য সরঞ্জাম নিয়ে আসছেন তারা। মিলানে অবতরণ করেই চীনা চিকিৎসক দল দ্রুত যোগ দেবেন স্থানীয় ইতালিয়ান চিকিৎসকদের সাথে।
চীনের সুঝোউ সিটি থেকেও জরুরী চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য উপকরণ পাঠানো হচ্ছে করোনা মহামারীতে পর্যুদস্ত ইতালির বিভিন্ন জনপদে। চীনা বিশেষজ্ঞদের প্রথম দলটি এরই মধ্যে ৪০টি ভেন্টিলেটর ও ৩১ টন চিকিৎসা উপকরণ নিয়ে কাজ শুরু করেছে। কর্মকর্তারা বলছেন, ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে ও আক্রান্তদের চিকিৎসায় তারা সাধ্য অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছে। তারা বলেন, করোনার মহামারি ঠেকাতে আমাদের প্রত্যেককেই আরো দায়িত্বশীল হতে হবে।
Posted ৭:৩৩ অপরাহ্ণ | বুধবার, ১৮ মার্চ ২০২০
ajkerograbani.com | shalauddin Razzak
.
.
Archive Calendar