
ডেস্ক | মঙ্গলবার, ০৯ জুন ২০২০ | প্রিন্ট
বিশ্বজুড়ে লাগামছাড়া হয়ে উঠছে করোনা সংক্রমণ। পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপের দিকে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান টেড্রস আধানম ঘেব্রেইসাস। বিশ্বে করোনা শনাক্তের সংখ্যা প্রায় ৭২ লাখ। মৃত্যু চার লক্ষেরও বেশি। যুক্তরাষ্ট্রের করোনা পরিস্থিতি আরও শঙ্কাজনক। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ২০ লাখ ছাড়িয়েছে। মৃত্যু লাখের বেশি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, সংক্রমণের গতি বাড়ছে লাতিন আমেরিকার দেশগুলোতে। ভয়ানক অবস্থা ব্রাজিল, মেক্সিকোতে। দক্ষিণ আমেরিকায় সংক্রামিত ১২ লক্ষেরও বেশি। মৃত্যু হয়েছে ৬০ হাজারের বেশি মানুষের।
ঘেব্রেইসাসের বক্তব্য, চীন থেকে ডিসেম্বরে যে ভাইরাল ছড়িয়ে পড়ার খবর মিলেছিল ধীরে ধীরে তার ভরকেন্দ্র হয়ে ওঠে পূর্ব এশিয়া, ইউরোপের দেশগুলি। ইতালিতে মৃত্যুমিছিল শুরু হয়ে যায়। তবে ইতালি এখন সংক্রমণে রাশ টেনেছে অনেকটাই। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ৩৫ হাজারের কাছাকাছি। সে তুলনায় সংক্রমণের নিরিখে ইতালিকে টপকে গেছে ব্রাজিল, রাশিয়া, স্পেন, ব্রিটেন ও ভারত।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, গত ১০ দিনে প্রতিদিনই এক লক্ষের বেশি সংক্রমণের খবর মিলছে। আগামী দিনে মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকায় সংক্রমণ ও মৃত্যু আরও বাড়বে। কিছু দেশ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে লকডাউন শিথিল করার কথা ভাবছে। কিন্তু তাতে বিপদ আরও বাড়বে। টেড্রস জানিয়েছেন, গত রবিবার বিশ্বে যত সংক্রমণ ধরা পড়েছে তার ৭৫ শতাংশই ছিল আমেরিকা ও দক্ষিণ এশিয়ার অন্তত দশটি দেশের।
নিউজিল্যান্ড করোনা-মুক্ত হলেও ব্রাজিলের করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। আক্রান্ত সাত লাখের বেশি। মৃত্যু হয়েছে ৩৭ হাজার। একটি সমীক্ষা রিপোর্টে অনুমান করা হয়েছে, জুন শেষের মধ্যে সংক্রমণের সংখ্যা ১০ লক্ষ ছাড়াবে। মৃত্যু পেরিয়ে যাবে ৫০ হাজার। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত শহর সাও পাওলোর আকাশ থেকে তোলা ছবিতে দেখা গিয়েছে, কবরস্থানগুলিতে সার দিয়ে মাটি খুঁড়ে জায়গা তৈরি করা হচ্ছে গণকবর দেওয়ার জন্য। সংক্রমণের হার বৃদ্ধির জন্য প্রেসিডেন্ট জাইর বোলসোনারোর উপরেই দোষ চাপিয়েছেন অনেকে।
মেক্সিকোয় গত সপ্তাহে সব চেয়ে খারাপ অবস্থা ছিল। সব চেয়ে বেশি সংক্রমণ ও মৃত্যু ঘটেছে গত সাত দিনে। রাশিয়াতেও সংক্রমণ বাড়ছে দ্রুত গতিতে। এখনও অবধি ৪ লাখ ৭৬ হাজার মানুষ আক্রান্ত। স্পেনে সংক্রামিত তিন লাখ ছুঁতে চলেছে। ব্রিটেনের হালও এক। সেখানেও সংক্রামিত ২ লাখ ৮৭ হাজারের কাছাকাছি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, এখনও অবধি ১১০টি দেশে ৫০ লক্ষের বেশি পিপিই পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। আরও ১২ কোটির বেশি পিপিই পৌঁছে দেওয়া হবে ১২৬টি দেশে।
Posted ৮:৩০ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৯ জুন ২০২০
ajkerograbani.com | shalauddin Razzak
.
.
Archive Calendar