
ডেস্ক | মঙ্গলবার, ১৭ মার্চ ২০২০ | প্রিন্ট
করোনাভাইরাস আরও ছড়িয়ে পড়া রুখতে চূড়ান্ত ব্যবস্থা হিসেবে সেনজেনভুক্ত ২৬ দেশের সীমান্ত বন্ধের সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ফ্রান্স, জার্মানির নেতাদের সঙ্গে এক টেলিফোনালাপে এমন প্রস্তাব তুলে ধরেন ইউরোপীয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডের লিয়েন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। খবর সিএনএনের।
ইউরোপীয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘যত ভ্রমণ কমানো যাবে ততই ভাইরাস প্রতিরোধ সম্ভব হবে’। আজ মঙ্গলবার এমন নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাবে ইউরোপীয়ান কাউন্সিল সমর্থন জানাবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন উরসুলা। উরসুলা তার প্রস্তাবে বলেন, এই ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রাথমিক পর্যায়ে ৩০ দিনের জন্য কার্যকর হতে পারে। তবে প্রয়োজন অনুযায়ী এটি বাড়ানো যেতে পারে।
পরে এ বিষয়টি টুইটবার্তায় তুলে ধরেন উরসুলা। ইইউ কমিশনের সীমান্ত ব্যবস্থা ও প্রস্তাবসমূহের গাইডলাইন- নামে উরসুলা দুটি বিষয় তুলে ধরেন। সেগুলো হলো- রাস্তার গ্রিন লেন/দ্রুত লেনকে প্রয়োজনীয় গাড়ি চলাচলের জন্য অগ্রাধীকার দেয়া এবং অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণের ওপর ৩০ দিনের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞারোপ।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের কয়েকটি দেশ করোনা রুখতে নিজেদের পাসপোর্টধারী বাদে বাকিদের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার পর এমন প্রস্তাব তুলল ইউরোপীয়ান কমিশন। আগে থেকেই যেসব দেশ এমন ব্যবস্থা নিয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছে জার্মানি ও এস্তোনিয়া।
এটি কার্যকর হলে সেনজেনভুক্ত দেশগুলোতে অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ বন্ধ হয়ে যাবে। এর সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য ইউরোপ মহাদেশের দেশ কিন্তু সেনজেনভুক্ত নয় এমন দেশগুলোকেও আমন্ত্রণ জানাবে ইউরোপীয়ান কমিশন। সেই দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে- আয়ারল্যান্ড, সাইপ্রাস, ক্রোয়েশিয়া, রোমানিয়া এবং বুলগেরিয়া।
ইউরোপীয় দেশগুলোকে নিয়ে একটি একীভূত অঞ্চল তৈরি করে দেশগুলোর মধ্যে মানুষের যাতায়াত সহজ করার লক্ষ্যে ১৯৮৫ সালে লুক্সেমবার্গের সেনজেন শহরে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে কয়েকটি ইউরোপীয় দেশ। সেই চুক্তির ধারাবাহিকতাতেই সৃষ্টি হয়েছে সেনজেন এলাকা ও সেনজেন ভিসা। ইউরোপের অধিকাংশ এলাকা এই সেনজেন অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত। কেবল সেনজেন ভিসা নিয়েই ৯০ দিনের জন্য বেড়ানো বা ব্যবসার জন্য এসকল দেশে যাওয়া যায়। ভিন্ন ভিন্ন ভিসার প্রয়োজন হয় না।
Posted ১:৪৯ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১৭ মার্চ ২০২০
ajkerograbani.com | shalauddin Razzak
.
.
Archive Calendar