নিজস্ব প্রতিবেদক: | ১৭ জুলাই ২০১৭ | ৭:১৮ অপরাহ্ণ
কৃষিবিদ শাহাদাত হোসেন, সহ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক- মুকসুদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ
মানুষ বাঁচে তার কর্মের মধ্যে। মানুষের ক্ষণস্থায়ী জীবন থেমে যেতে পারে যেকোনো মুহূর্তে। কিন্তু নিজ কর্মের মাধ্যমে মানুষ বেঁচে থাকে অনন্তকাল। কর্মের দ্বারাই মানব মনে স্থায়ীভাবে জায়গা করে নেয়া যায়। মানুষ যেকোনো ব্যক্তিকে তার কর্মফল
বা কর্মগুণ দ্বারা বিখ্যাত বা কুখ্যাত হিসাবে মূল্যায়ন করে দীর্ঘকাল যাবত। মহৎ কর্মই মানুষকে অমরত্ব দান করে। মহৎ সৃষ্টিশীলতার জন্যই মানুষ পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জীব হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। ভাল কাজই মানুষকে এক যুগ থেকে অন্য যুগে পৌঁছে দেয়। মানুষকে শ্রদ্ধা, ভক্তি ভালোবাসায় সিক্ত করে। গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর পৌরসভার কমলাপুর গ্রামে আব্দুল মালেক মুন্সীর ঘরে জন্ম নেওয়া কৃষিবিদ শাহাদাত হোসেন এমনই একজন মানুষ যাকে আজীবন মনে রাখবে অত্র অঞ্চলের মানুষ।
আমাদের দেশে হাতে গোনা যে কয়জন মানুষ পাওয়া যাবে যারা নিজের যোগ্যতা ও প্রচেষ্টায় ছোট থেকে বড় হয়েছেন তাদের মধ্যে কৃষিবিদ শাহাদাত হোসেন অন্যতম। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের মাধ্যমে রাজনীতিতে আসা কৃষিবিদ শাহাদাত হোসেন ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এ এইচ হলের সহ সভাপতি, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির আইন সম্পাদক। বর্তমানে তিনি মুকসুদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক।
মুকসুদপুর-কাশিয়ানীর উন্নয়নের রুপকার মুহাম্মদ ফারুক খান এমপির পক্ষে যারা নি:স্বার্থ প্রচার প্রচালনা চালান তাদের তালিকা করলে কৃষিবিদ শাহাদাত হোসেনকে রাখতে হবে সবার উপরে। ফারুক খান এমপির একনিষ্ঠ ভক্ত এ মানুষটি তার এলাকায় উন্নয়ণের কাণ্ডারী হিসেবেই খ্যাত। যুব সমাজও তাকে নিয়ে গর্ব করতে কার্পণ্য করেন না। ভালো কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ মুকসুদপুরের দলমত নির্বিশেষে সবার সাথেই রয়েছে তার হৃদতার সম্পর্ক। কর্মী বান্ধব একজন নেতা হিসেবেও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের কাছে তিনি পরিচিত। শুধু তাই নয়, বিগত জোট সরকার আমলে বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামেও নেতাকর্মী নিয়ে তার অংশগ্রহণ ছিল সক্রিয়।
কৃষিবিদ শাহাদাত হোসেন বিভিন্ন সামাজিক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত থেকে সহযোগিতা করে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে। ঢাকাস্থ মুকসুদপুর পৌর কল্যাণ সমিতির সভাপতি হিসেবে তিনি ঢাকায় বসবাসরত মুকসুদপুরবাসীর বিপদে আপদে পাশে দাঁড়ান। কৃষিবিদ শাহাদাত হোসেন বলেন, আমি রাজনীতি আর সামাজিক নীতি কখনোই এক করে দেখি না। যখন আমি সমাজ উন্নয়ণে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখি তখন দলমত নির্বিশেষে আমি সবার। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে একমাত্র রাজনৈতিক নেতা হিসেবেই আবির্ভূত হই।
তিনি বলেন, রাজনীতি করে আমার কোন চাওয়া নেই। আমি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ এবং উত্তর সিটি নির্বাচনের সফল সমন্বয়ক, গোপালগঞ্জ-১ থেকে ৪ বার নির্বাচিত এমপি, সাবেক ২ বারের সফল মন্ত্রী, মুহাম্মদ ফারুক খানকে পুনরায় এ আসনের এমপি ও মন্ত্রী সভায় গুরুত্বপূর্ণ পদে দেখতে।
নির্ভিক নিউজের প্রকাশক ও সম্পাদক কৃষিবিদ শাহাদাত হোসেন মনে করেন, সরকার ২০২১ সালের যে ভিশন নিয়ে বাংলাদেশকে ডিজিটাল করার উদ্যোগ নিয়েছে সে উদ্যোগে স্থানীয় পর্যায়ে আরও ব্যাপকভাবে কাজ করার জন্য সক্রিয় রাজনীতির কোনো বিকল্প নেই। রাজনীতির মাধ্যমে সাধারণ মানুষের অনেক কাছে যাওয়া যায়।
তাই বলছি, পৃথিবীতে অসংখ্য মানুষ এসেছে, অনেকে চলে গেছে, কিন্তু মহাকালের যাত্রায় স্থান করে নিয়েছে খুব অল্প সংখ্যক মানুষই আর অল্প মানুষের মধ্যে কৃষিবিদ শাহাদাত হোসেন একজন। যাকে বাঁচিয়ে রাখবে তার মহৎকর্ম।