অনলাইন ডেস্ক | ২৮ আগস্ট ২০১৭ | ১০:০৬ অপরাহ্ণ
আধ্যাত্মিক ঋষি, জনহিতৈষী, বহুমুখী গায়ক, চৌকস ক্রীড়াবিদ, চলচ্চিত্র পরিচালক, অভিনেতা, শিল্প নির্দেশক, সংগীত পরিচালক, লেখক, গীতিকার, জীবনীকার…। ভেরিফায়েড টুইটার অ্যাকাউন্টে এই পরিচয় ভারতের স্বঘোষিত ‘ধর্মগুরু’ গুরমিত রাম রহিম সিংয়ের। অ্যাকাউন্টে আবার নামের আগে ‘ড.’ উপাধিও উল্লেখ করা।
একদিকে সিনেমার হিরো, দলিত সম্প্রদায়ের মানুষকে ‘ইনসান’-এর মর্যাদা দেওয়া, রাজনৈতিক ক্ষমতা আর পেশীশক্তি – এই সব কিছুর মিশেলেই প্রায় আড়াই দশক ধরে গড়ে উঠেছে গুরমিত রাম রহিম সিং-এর ভক্তকুল।
দুই নারী ভক্ত(সাধ্বী)’র ধর্ষণের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন ভারতের বিতর্কিত ধর্মগুরু গুরমিত রাম রহিম। বিহার রাজ্যের ডেরা সাচ্চা সওদার আশ্রমের গোপন ডেরায় ‘রাসলীলা’ চালাতেন তিনি।
আরও পড়ুন: ধর্ষক বাবা গুরমিতের ডেরার উত্তরসূরীর দৌড়ে আছেন যারা
কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি, দামি দামি গাড়ি, সিনেমার হিরো, বিদেশ সফর আমোদ-প্রমোদের কোনো ঘাটতি ছিল না তার জীবনে। কিন্তু গত ৪৮ ঘণ্টায় বদলে গেছে অনেক কিছু। কারাগারে গিয়ে ধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত ভারতীয় বিতর্কিত এই ধর্মগুরু নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন বলে ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে।
শুক্রবারই বাবা গুরমীত রাম রহিমকে ধর্ষণের মামলায় দোষী সাব্যস্ত করেছে বিশেষ সিবিআই আদালত। এর পরে ডেরা সচ্চা সৌদার অন্দরে বড় জল্পনা শুরু হয়েছে এক মহিলাকে নিয়ে।
দোষী সব্যস্ত হওয়ার পর জেলে নিয়ে যাওয়ার সময়ও এই মহিলা ছিলেন রাম রহিমের হেলিকপ্টারে। এমনকী জেলে রাম রহিমের সঙ্গে রাত্রিবাসও করতে চান তিনি। কিন্তু এ ভাবে জেলে কোনও সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তির সঙ্গে মহিলাকে থাকতে দেওয়া যায় না বলে জেলের অফিসাররা বাধ সাধেন। তাতে ক্ষিপ্ত হন রাম রহিম।
পরে জানা যায়, এই মহিলা আর কেউ নয়, তিনি হলেন রাম রহিমের দত্তক নেওয়া মেয়ে হানিপ্রীত ইনসান। অভিযোগ আছে, হানিপ্রীতের সঙ্গে ধর্ষক বাবা গুরমিতের অবৈধ সম্পর্ক আছে। এ কারণেই মানুষের চোখে ধোকা দিতে হানিপ্রীতকে দত্তক মেয়ে বানিয়েছে ভণ্ড বাবা। আর এ অভিযোগ খোঁদ হানিপ্রীতের স্বামীরই।
হানিপ্রীতকে নিয়ে সবচেয়ে বড় যে জল্পনা লুকিয়ে রয়েছে, তা হল রাম রহিমের পর তিনিই হতে চলেছেন ডেরা সচ্চা সৌদার প্রধান। কারণ রাম রহিমের ছেলে-মেয়েদের মধ্যে হানিপ্রীতই তার সবচেয়ে কাছের। প্রভাবশালী এই ধর্মীয় সংগঠনের রাশ ধরার সমস্ত অস্ত্র হানিপ্রীতের কাছেই রয়েছে বলে জল্পনা তুঙ্গে।