
কাশিয়ানী (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি | মঙ্গলবার, ০২ জুন ২০২০ | প্রিন্ট
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে অর্থের বিনিময় মিথ্যা প্রত্যয়ন দিয়ে চেয়ারম্যান কর্তৃক ‘ওয়ারিশ সনদপত্র’ প্রদানের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
উপজেলার রাতইল ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ মাসুদ মোল্যার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে।
এ ব্যাপারে কাশিয়ানী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভূক্তভোগী প্রভাষ বিশ্বাস।
অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার রাতইল ইউনিয়নের ভাদুলিয়া গ্রামের মৃত খগেন্দ্রনাথ বিশ্বাসের চার ওয়ারিশ জিতেন চন্দ্র বিশ্বাস, শান্তি রঞ্জন বিশ্বাস, বিবেক চন্দ্র বিশ্বাস ও বিদ্যুৎ চন্দ্র বিশ্বাস। এদের মধ্যে জিতেন চন্দ্র বিশ্বাস ও বিবেক চন্দ্র বিশ্বাসের নাম বাদ দিয়ে মিথ্যা প্রত্যয়ন দিয়ে চেয়ারম্যান কর্তৃক একটি ওয়ারিশ সনদপত্র প্রদান করেছেন ইউপি সদস্য মাসুদ মোল্যা। এ মিথ্যা সনদপত্র দিয়ে ভূক্তভোগী পরিবারের জমি জালিয়াতির করার অভিযোগ উঠেছে অপর একটি পরিবারের বিরুদ্ধে।
অভিযোগকারী প্রভাষ বিশ্বাস বলেন, ‘আমার ঠাকুরদা খগেন্দ্রনাথ বিশ্বাস চার সন্তান রেখে মারা যান। কিন্তু মেম্বার মাসুদ মোল্যা আমার বংশীয় কাকা সমীর বিশ্বাসের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা পেয়ে আমার বাবা জিতেন চন্দ্র বিশ্বাস ও কাকা বিবেক চন্দ্র বিশ্বাসের নাম বাদ দিয়ে একটি ভূয়া ওয়ারিশ সনদপত্র দিয়েছেন।
এ ভূয়া ওয়ারিশ সনদপত্র ব্যবহার করে সমীর বিশ্বাস ও তার ভাইয়েরা আমার ঠাকুরদার রেখে যাওয়া সম্পত্তি জালিয়াতির মাধ্যমে মিউটেশন করে আত্মসাৎ করেছে। আমরা প্রকৃত উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্য সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হয়েছি। এ সম্পত্তি হারিয়ে আমরা এখন নিঃস্ব। এ সম্পত্তি ছাড়া আমাদের মাথা গোঁজার মতো আর কোন জায়গা-জমি নেই। আমাদের দখলে থাকা সম্পত্তি ছেড়ে দেয়ার জন্য বার বার হুমকি দিচ্ছেন সমীর বিশ্বাস ও তাঁর লোকেরা। তাই আমরা বাড়ি ছাড়ার ভয়ে চরম নিরাপত্তহীনতায় ভূগছি।’
রাতইল ইউপি চেয়ারম্যান বি, এম হারুন অর রশিদ (পিনু) অভিযোগের দায় ইউপি সদস্যের ওপর চাপিয়ে দিয়ে বলেন, ‘মেম্বার যাচাই-বাচাই করে স্বাক্ষর করার পর আমি স্বাক্ষর করি। তবে কোন মেম্বার এ ধরণের অনিয়ম করলে তা প্রমাণিত হলে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য মাসুদ মোল্যার সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি প্রত্যয়নের কথা স্বীকার করে বলেন, ‘আমি আসলে বিষয়টা বুঝতে পারিনি। না বুঝে সই করে ফেলেছি।’
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাব্বির আহমেদ বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। ওই ইউপি সদস্যকে শোকজ করা হয়েছে এবং অভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
Posted ১২:৩৩ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০২ জুন ২০২০
ajkerograbani.com | shalauddin Razzak
.
.
Archive Calendar