নিজস্ব প্রতিবেদক | ০২ অক্টোবর ২০১৭ | ১২:১৪ অপরাহ্ণ
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলায় স্বাস্থ্যসেবার বেহাল দশা। চিকিৎসা দরকার যেন হাসপাতালেরই। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা দপ্তরের লাইট-ফ্যানগুলো নির্ধারিত সময়ে দায়িত্ব পালন শুরু করলেও সময়মতো দেখা মেলে না ডাক্তার ও অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। ফলে চিকিৎসার জন্য রোগীরা এসে ঘন্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে অনেকেই ফিরে যান। কেউ যান বেসরকারি ডাক্তারের কাছে।
আজ সোমবার সরেজমিন হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায় কর্মচারী এসে সকাল বেলা হাসপাতাল খুললেও নেই কর্মকর্তা বা ডাক্তার। দীর্ঘ ৩ দিনের পূজা ও আসুরা উপলক্ষে সরকারি ছুটি শেষে আজ সোমবার অফিসের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এই হাসপাতালে যেখানে সকাল সাড়ে ৮ টায় অফিসের কার্যক্রম শুরু হয়, সেখানে সকাল সাড়ে ১০টায়ও হাসপাতালে উপস্থিত হতে পারেননি ডা. জাহাঙ্গীর হোসেন ( টি এইচ আই)। তবে, তিনি উপস্থিত না থাকলেও তার রুমের লাইট ও ফ্যান ঠিকই চলতে দেখা গেছে।
বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যেখানে স্বাস্থ্যসেবাকে প্রাধান্য দিয়ে নানা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছেন। এ খাতে বরাদ্দ বাড়াচ্ছেন। এমনকি এই গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলাতেই মাননীয় স্বাস্থ্য সচিবের বাড়ি। সেখানে সরকারি স্বাস্থ্যসেবার এমন দৃশ্যে হতবাক স্থানীয়রা। তারা বলছেন প্রদীপের নিচে সবসময় অন্ধকার থাকে। এখানেও তাই হয়েছে।
হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায় খিতিশ চন্দ্র বর্মনও (মেডিকেল টেকনোলোজি, এক্স-রে) উপস্থিত নেই। হাসপাতালে আসা রোগীরা বসে-হেঁটে সময় পার করছেন। অপেক্ষা করছেন চিকিৎসক কখন আসবেন। অসুস্থ অনেক শিশুকে চিৎকার করে কাঁদতে দেখা গেছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার মুঠোফোনে (০১৭১১৮৭৫২৮২) যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি বাইরে আছি। হাসপাতালে গিয়ে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিচ্ছি।