কাশিয়ানী (গোপালগঞ্জ) সংবাদদাতা: | ১০ জুলাই ২০১৮ | ৩:১৮ অপরাহ্ণ
গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলায় শিক্ষক সংকটে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যাবস্থা ভেঙ্গে পড়ছে। ৫৬টি প্রধান শিক্ষকের পদসহ মোট ১৩৬ জন শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। কোন কোন বিদ্যালয় একজন শিক্ষক একাই চালাছেন একটি বিদ্যালয়।
জানাগেছে,কাশিয়ানী উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে মোট ১৭১ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ের মধ্যে ৫৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন যাবত প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। সহকারি শিক্ষক দিয়ে কোন মতে প্রধান শিক্ষকের কাজ চালিয়ে নেওয়া হচ্ছে। ভারপ্রাপ্ত প্রাধান শিক্ষকের দ্বায়িত্ব প্রদানের ক্ষেত্রে ও নিয়ম না মানার অভিযোগ রয়েছে।
কাশিয়ানী উপজেলার মোট ১৭১ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বর্তমানে ৮০ জন সহকারি শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। যে কারণে কাশিয়ানীতে ব্যাধ্যতামুলক প্রাথমিক শিক্ষা মুখ থুবড়ে পড়ছে। ব্যাহত হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষা ব্যাবস্থা।
বছরের পর বছর উপজেলার মহেশপুর ইউনিয়নের ৩৩ নং ডহর দূর্গাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ফুকরা ইউনিয়নের ধলগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মাত্র একজন শিক্ষক পদায়ন রয়েছে। শিশু শ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত লেখা পড়া করতে হয় একজন শিক্ষককেই। কোন শিক্ষককে ওই বিদ্যালয়ে বদলী বা পদায়ন না দিয়ে দীর্ঘ দিন পরে নানান অভিযোগের ভিত্তিতে ওই দু’টি বিদ্যালয়ে ডেপুটেশনে একজন করে শিক্ষক পাঠানো হয়েছে। দুইজন শিক্ষকের মধ্যে একজনকে প্রতিমাসেই কয়েক বার দাপ্তরিক কাজে এবং বিভিন্ন সভা সমাবেশে উপজেলা সদরে আসতে হয়। ফলে সেই শূন্যতাই থেকে যায় এবং একজন শিক্ষককেই শিশু শ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণী পযর্ন্ত সামাল দিতে হচ্ছে। এ ছাড়াও কয়েকটি বিদ্যালয়ে রয়েছে দুইজন করে শিক্ষক।
অন্যদিকে,অদৃশ্য কারণে বেশ কয়েকটি বিদ্যালয়ে শিক্ষর্থীর সংখ্যা কম থাকলেও শিক্ষকের পদায়ন ঠিকই রাখা হয়েছে। সচেতন মহল মনে করে যেসব বিদ্যালয়ে আনুপাতিক হারে শিক্ষার্থী কম রয়েছে সেখান থেকে শিক্ষক নিয়ে শূন্যতা পুরানো করলে একদিকে ওই বিদ্যালয় গুলির শিক্ষক শূন্যতা কমবে। বাড়বে শিক্ষার মান। শূন্যতার কারণ হিসাবে অনেকেই মনে করেন প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় এবং অদৃশ্য কারণে অনেক শিক্ষকই নিজের সুবিধা মত বদলী হয়ে যায় ফলে বেশ কিছু বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকট প্রবল আকার ধারন করে। ফলে সরকারের উদ্দেশ্য ব্যাহত হচ্ছে। বাধাগ্রস্থ হচ্ছে শিক্ষা ব্যাবস্থা। মুখ থুুবড়ে পড়ছে কাশিয়ানী উপজেলার বাধ্যতামুলক প্রাথমিক শিক্ষা ব্যাবস্থা।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ মোজ্জাম্মেল হক শাহ এ প্রতিবেদককে জানান, আমি নতুন এসেছি। শিক্ষক শুন্যতার বিষয়টি অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহনের জন্য গোপালগঞ্জ জেলা শিক্ষা অফিসার এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ঢাকায় আমি লিখিত ভাবে জানিয়েছি।