নিজস্ব প্রতিবেদক: | ০২ আগস্ট ২০১৭ | ১১:০৪ অপরাহ্ণ
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার বাথানডাঙ্গা বাজারের উপরেই অবস্থিত বাথানডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়। বাজারের পূর্বদিক দিয়ে বয়ে গেছে কুমার নদী। কুমার নদী হতে ছোট্ট একটি খাল সামান্য দক্ষিণে এসে পশ্চিমে বাক নিয়ে বাজার ঘেসে স্কুলের সামনে দিয়ে চলে গেছে দক্ষিণ দিকে। স্কুলটি ১৯৫৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
এলাকায় এটিই সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহী সনামধন্য বিদ্যাপীঠ। জ্ঞানের আলো বিতরণের ও সমাজ সেবায় উৎসাহী মহামানবদের ভবিষ্যত চিন্তার ফসলই এ স্কুল।
তখন কাশিয়ানী থানায় হাতে গোনা কয়েকটি স্কুলের মধ্যে বাথানডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয় অন্যতম। দূর দূরান্ত হতে কত শিক্ষার্থী জ্ঞানের আলো নিয়ে এলাকা, দেশ, বিদেশে বিতরণ করে যে আলোকিত করেছেন তার হিসাব মেলা ভার।
স্কুলের পাশের গ্রাম গোয়ালগ্রাম, দূর্গাপুর, কোড়ামারী, শ্রীপুর, সাহেবেরচর, পদ্মবিলার প্রত্যেকটি মানুষ ছিলো স্কুলের জন্য নিবেদিত। কাঁচা ভিটে টিনের ঘর দিয়ে শুরু হলেও এখন স্কুলে দ্বিতল ভবন রয়েছে দুইটি, একতলা একটি এবং টিন সেড একটি।
জানাগেছে, স্কুলের পরিচালনা পরিষদ সভাপতি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের গোপালগঞ্জ জেলার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ও দৈনিক আজকের অগ্রবাণীর প্রধান সম্পাদ ইঞ্জিনিয়ার এম এম আবুল হোসেন। যিনি ছাত্র হিসেবে অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন, রাজনৈতিক জীবনে এবং সামাজিক জীবন দৃঢ়প্রত্যয়ী ও সদালাপি এবং পেশাগত দায়িত্ব পালনে কোথাও আচরণগত ত্রুটির কথা শোনা যায় না তার। তাই সুনিপুণ চিন্তা ও পরিকল্পনা কর্মশৈলী দিয়ে বাথানডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়কে সাজাচ্ছেন মনের মতন।
ইতিমধ্যে শিক্ষক স্টাফ সাজিয়েছেন একঝাক তরণ মেধাবী শিক্ষক শিক্ষিকা দিয়ে। তাই দূর দূরান্তে সুনাম ছড়িয়ে পড়ায় শিক্ষার্থী বেড়ে দাঁড়িয়েছে নয়শতের কোঁটায়। শিক্ষক শিক্ষিকা রয়েছে একুশ জন।
প্রতি বছর পাশের হার শতকরা ৮৫%। ২০১৪ সালে ইঞ্জিনিয়ার এম এম আবুল হোসেন স্কুলের সভাপতি নির্বাচিত
হয়ে স্কুলটির সার্বিক উন্নয়নের জন্য মেগা পরিকল্পনা গ্রহন করে স্কুল সীমানা প্রাচীরের ভিতরের পুকুর স্কুল ও নিজস্ব অর্থায়নে
ভরাট করে শিক্ষার্থীদের খেলাধূলা ও শরীরচর্চার অনন্য সুযোগ তৈরি করে দেন।
উত্তর পার্শের দ্বিতল ভবনের উভয় ফ্লোরে টাইলস্ করিয়েছেন। পর্যাপ্ত জোড়াবেন্স, দক্ষিণ পার্শের ঝুঁকিপূর্ণ সীমানা প্রচীর সংস্কার, কম্পিউটার ল্যাব তৈয়ার ও বিজ্ঞানা গারটি সমৃদ্ধ করে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে যুক্ত করেছেন স্কুলের শিক্ষার্থীদের।
আরও জানা গেছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় উন্নয়ন প্রকল্প হতে নিজ প্রচেষ্টায় চার তলা ফাউন্ডেশন বিশিষ্ট এক তলা ভবনের অর্থ বরাদ্দ করিয়েছেন তিনি।
স্কুলটির প্রধান শিক্ষক মোঃ নজরুল ইসলামের কাছে স্কুল সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সভাপতি মহোদয়ের সুদৃষ্টি
সঠিক তত্ত্বাবধান শিক্ষক, এলাকাবাসী, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই সেরাদের সেরা হবো ইনসাআল্লাহ।