রেজাউল করিম | ২৯ জুন ২০১৭ | ১০:২৯ পূর্বাহ্ণ
ঢাকা খুলনা মহাসড়কে কাশিয়ানীর গেড়াখোলার পন্ঞ্চবটি এলাকায় ঢাকাগামী সেবাগ্রীনের ১২০০১৪ নম্বর গাড়ীর সাথে খুলনাগামী প্রাইভেট কার ১৪-৩৬৬৩ নম্বরের গাড়ীর মুখোমুখি সংঘর্ষে একই পরিবারের পাঁচজন ও চালক সহ মোট ছয়জন নিহত হয়েছে। এ সময় অন্তত ১৫ জন বাসযাত্রী আহত হয়।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন মাইক্রোবাসের যাত্রী বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার খুড়িয়াখালী গ্রামের সৌদি আরব প্রবাসী হালিম আকন (৪৩), তাঁর স্ত্রী আসমা বানু (৩৫), ছেলে শিহাব (৮) ও সুজন (১৭) এবং শ্যালক বাদল হাওলাদার (৩২)। দুর্ঘটনায় নিহত মাইক্রোবাস চালকের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
এঁদের মধ্যে শিহাব প্রথম শ্রেণিতে পড়ত। সুজন এবার এসএসসি পাস করে।
হালিম আকনের শ্যালিকা লাবণী বানু জানান, তাঁর দুলাভাই হালিম আকন ১২ বছর সৌদি আরব ছিলেন। মাঝেমধ্যে দেশে এসেছেন। সর্বশেষ গতকাল বুধবার রাত ২টায় তিনি ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন। তাঁকে আনতে বিমানবন্দরে যান তাঁর বড় বোন আসমা বানু, বোনের দুই ছেলে ও তাঁর বড় ভাই। তাঁরা বিমানবন্দর থেকে একটি মাইক্রোবাস ভাড়া করে গ্রামের বাড়িতে ফিরছিলেন। কিন্তু দুর্ঘটনায় বোনের পুরো পরিবার শেষ হয়ে গেল।
কাশিয়ানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আলীনূর হোসেন ও গোপালগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের পরিদর্শক নিয়ামুল হুদা জানান, গোপালগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী সেবা গ্রিনলাইন পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাস আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কাশিয়ানীর গেড়াখোলা নামক স্থানে পৌঁছালে বিপরীতমুখী একটি মাইক্রোবাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মাইক্রোবাসটি বাসের নিচে ঢুকে সড়কের পাশে খাদে পড়ে দুমড়েমুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই মাইক্রোবাসের যাত্রী একই পরিবারের পাঁচজনসহ মোট ছয়জন নিহত ও অন্তত ১৫ বাসযাত্রী আহত হয়।
দুর্ঘটনায় নিহতদের শরীর ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। গোপালগঞ্জ ও ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এবং পুলিশ সদস্যরা স্থানীয়দের সহায়তায় দুপুর দেড়টায় লাশ উদ্ধার কার্যক্রম সম্পন্ন করেন। অভিযানে নেতৃত্ব দেন ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্সের বৃহত্তর ফরিদপুর অঞ্চলের সহকারী পরিচালক এ বি এম মমতাজ উদ্দিন।
ওসি আলীনূর হোসেন জানান, গুরুতর আহতদের মধ্যে আটজনকে কাশিয়ানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।