নিজস্ব প্রতিবেদক | ১২ জুলাই ২০১৮ | ৮:২৩ অপরাহ্ণ
২০১৯ সালে উপজেলা নির্বাচন হলেও গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে কারা প্রার্থী হবেন তা নিয়ে সর্বত্র চলছে আলোচনা। দলীয় প্রতীকে প্রথমবারের মতো উপজেলা নির্বাচন হবে বিধায় এবার অনেকেই প্রার্থী হতে আগ্রক প্রকাশ করছেন। নির্বাচনের সময় যত ঘনিয়ে আসছে ভোটারদের কাছে ততই দীর্ঘ হচ্ছে প্রার্থীদের তালিকা। শোনা যাচ্ছে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীদের নাম।
নির্বাচনের সময় এখনো অনেক বাকি থাকলেও ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন প্রার্থীরা। দলীয় সমর্থন পেতে প্রার্থীদের চলছে দৌড়ঝাঁপ। দলের নেতৃবৃন্দের মন জয়ে চলছে দলীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতা। অনেক প্রার্থীই দোয়া ও আশীর্বাদ নিতে ছুটছেন ভোটারদের বাড়িতে।
১৪টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত কাশিয়ানী উপজেলার আয়তন ২৯৯.৬৪বর্গকিলোমিটার। জনসংখ্যা ২৭১৭৮৩জন(প্রায়)। পুরুষ ১৪৩৯৮১জন, মহিলা ১২৭৮০২জন।
কাশিয়ানী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হিসেবে বর্তমানে আলোচনায় আছেন উপজেলা চেয়ারম্যান জানে আলম বিরু, সাবেক চেয়ারম্যান ও হরিচাঁদ ঠাকুরের উত্তর পুরুষ সুব্রত ঠাকুর হিল্টু, কাশিয়ানী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো: মোক্তার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক কাজী জাহাঙ্গীর আলম ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ কমিটির সহ সম্পাদক ফারুক আহম্মেদ (জাপানি ফারুক)।
কাশিয়ানী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো: মোক্তার হোসেন বলেন, আমি গত নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলাম, জিততে না পারলেও ভোটারদের সঙ্গে আমার যোগাযোগ রয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও এলাকার সর্বস্তরের জনগণের বিপদে আপদে সব সময় পাশে থাকি। এবার যেহেতু নৌকা প্রতীকে নির্বাচন হবে সেহেতু উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে আমি নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হতে চাইবো। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দল আমাকে মনোনয়ন দিবে আমি এমইটিই মনে করি।
কাশিয়ানী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমি বর্তমানে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। দল যদি আমাকে যোগ্য মনে করে এবং সেরকম পরিবেশ পরিস্থিতি তৈরি হয় তাহলে আমার প্রার্থী হতে অমত থাকবেনা। আমি কখনো ইউপি নির্বাচন করবো ভাবিনি। কিন্তু পরিবেশ পরিস্থিতি অনুযায়ী প্রার্থী হয়েছি এবং বর্তমানে চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ কমিটির সহ সম্পাদক ফারুক আহম্মেদ (জাপানি ফারুক) বলেন, কাশিয়ানী উপজেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী ও সর্বস্তরের জনগণ চান আমি প্রার্থী হই। দল যদি আমাকে মনোনয়ন দেয় তাহলে আমি প্রার্থী হবো।