
| শনিবার, ২০ জুন ২০২০ | প্রিন্ট
মোহাম্মদ নাহিদ। পেশায় একজন ভ্যানচালক। অভাবের সংসারে আয়ের একমাত্র হাতিয়ার ভ্যান গাড়ি। ভ্যান চালানোর সময় সড়কে ব্যাগে মোড়ানো ৩ লাখ টাকার বান্ডিল পান তিনি। ভুলে যান দারিদ্র। নিজের সততার কাছে ৩ লাখ টাকার লোভ পরাজিত হয়। কুড়িয়ে পাওয়া পুরো টাকা বানেশ^রহাটের ইজারাদার ওসমানী আলীর হাতে তুলে দিয়ে সততার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন ভ্যানচালক নাহিদ (২৪)।
শুক্রবার দুপুর ১টায় কুড়িয়ে পাওয়া টাকার মালিকের সন্ধান না পাওয়ায় বানেশ^রহাট ইজারাদার ওসমান আলীর কাছে টাকাগুলো হস্তান্তর করেন ভ্যানচালক। নাহিদ পুঠিয়া উপজেলার বানেশ^র ইউনিয়নের চিতলপুকুর গ্রামের মো. আলাউদ্দিনের ছেলে।
মোহাম্মদ নাহিদ জানান, শুক্রবার দুপুরে বানেশ্বর বাজারের সড়কের ওপর ব্যাগে মোড়ানো ৩ লাখ টাকার বান্ডিল পাই। টাকার প্রকৃত মালিককে খুঁজে না পাওয়ায় পরে পুঠিয়া থানা পুলিশের উপস্থিতিতে বানেশ্বরহাটের ইজারদার ওসমান আলীর হাতে ৩ লাখ টাকা তুলে দেই।
তিনি বলেন, টাকাগুলো পেয়ে আমার লোভ হয়নি। বরং টাকার প্রকৃত মালিককে না পেয়ে আমার খারাপ লেগেছে। মালিককে না পেয়ে আমার কাছে টাকাগুলো রাখা নিরাপদ মনে করিনি। তাই ইজারাদারের হাতে তুলে দিয়েছি। তিনি প্রকৃত মালিককে খুঁজে পেয়ে টাকা ফেরত দেবেন।
বানেশ্বরহাটের ইজারাদার ওসমানী আলী বলেন, ভ্যানচালক নাহিদ সততার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। ভ্যান চালিয়ে অতি কষ্টে তার সংসার চলে। টাকাগুলো কুড়িয়ে পাওয়ার সময় তাকে কেউ দেখেনি। সে ইচ্ছা করলে টাকাগুলো নিয়ে বাড়ি চলে যেতে পারত। তা না করে সে প্রকৃত মালিককে ফেরত দিতেই টাকাগুলো আমার হাতে তুলে দিয়েছে। এখন প্রমাণ সাপেক্ষে আমি প্রকৃত মালিককে টাকা ফেরত দেব। তখন নাহিদকেও সেখানে যেকে নেব।
Posted ৯:১২ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ২০ জুন ২০২০
ajkerograbani.com | shalauddin Razzak
.
.
Archive Calendar