অনলাইন ডেস্ক | ২৬ জুলাই ২০১৭ | ১০:২২ পূর্বাহ্ণ
কুষ্টিয়ায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ সোবহান আলী (৩৭) ও হাসানুজ্জামান লালন (৩৫) নামের দুই ডাকাত নিহত হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এ সময় পুলিশের ৭ সদস্য আহত হয়েছে। পুলিশের দাবি, ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি বিদেশি পিস্তল, দেশীয় তৈরি পাইপগান, একটি শার্টারগান, ৩ রাউন্ডগুলি, ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত করাত ও রামদাহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে।
কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জয়নূল আবেদীন জানান, বুধবার ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি কুষ্টিয়া শহরের বাড়াদী এলাকায় একদল ডাকাত ডাকাতির প্রস্ততি নিচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে কুষ্টিয়া গোয়েন্দা পুলিশ ও মডেল থানা পুলিশের অভিযানে বাড়াদীর ভাগারের গোরস্থান সংলগ্ন এলাকায় পৌছালে ডাকাত দল পুলিশকে লক্ষ করে গুলি ছোড়ে।
এ সময় পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়লে ঘটস্থলে কুমারখালীর মনোহরপুর এলাকার নুর উদ্দিনের ছেলে ডাকাত সোবাহান আলী (৩৭) নিহত হয়। এমন সময় তার সঙ্গীরা পালিয়ে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি দেশীয় তৈরি শার্টারগান, ২ রাউন্ড গুলি ও করাত উদ্ধার করে।
তার বিরুদ্ধে কুমারখালী, রাজবাড়ী, ঈশ্বরদী কুষ্টিয়া মডেল থানায় ৮টি মামলা রয়েছে বলে জানান পুলিশ সুপার।
অন্যদিকে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা থানা পুলিশের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ হাসানুজ্জামান লালন (৩৫) নামের এক ডাকাত নিহত হয় বলে জানান পুলিশ।
পুলিশ জানান, ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে ভেড়ামারার দশমাইল নামক স্থানে একদল ডাকাত ডাকাতি করছে। এ সময় ভেড়ামারা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছালে সেখানে পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে এক ডাকাত নিহত।
পুলিশের দাবি, সে গাংনীর মনোহরদিয়া গ্রামের আলীম উদ্দিনের ছেলে ডাকাত হাসানুজ্জামান লালন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি শর্টারগান, এক রাউন্ডগুলি ও করাত উদ্ধার করে। ভেড়ামারা থানার ৩ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। পরে লাশ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।