কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ | ০৫ জুলাই ২০১৭ | ৩:২৪ অপরাহ্ণ
কুড়িগ্রামের প্রধান-প্রধান নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ফলে দ্বীপচর ও নদ-নদী তীরবর্তি এলাকার নিম্নাঞ্চল তলিয়ে যাচ্ছে। ফলে সদর উপজেলার হলোখানা, ভোগডাঙা, যাত্রাপুর, ঘোগাদহ, মোঘলবাসা, নাগেশ্বরীর নুনখাওয়া, বামনডাঙ্গা, কালিগঞ্জ, উলিপুরের হাতিয়া, বেগমগঞ্জ, সাহেবের আলগা, চিলমারীর অস্টমীরচর, নয়ারহাটসহ কয়েকটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের বীজতলা ও পাটক্ষেত জলমগ্ন হয়ে পড়েছে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ৪টি নদ-নদীর পানির লেভেল পরিমাপ করা হয় ধরলায় ২৫ দশমিক ৪৭ সে.মি., তিস্তায় ২৮ দশমিক ০৩ সে.মি., ব্রহ্মপূত্র নুনখাওয়ায় ২৫ দশমিক ৩৩ সে.মি., এবং চিলমারী পয়েন্টে ২৩ দশমিক ১০ সে.মি.। বৃষ্টিপাত পরিমাপ করা হয় ধরলায় ৮৮ মি.মি, তিস্তায় ২৫ মি.মি., চিলমারীতে ৯০ মি.মি.।
এরফলে গত ২৪ ঘন্টায় ধরলা নদীতে ১২ সে.মি., ব্রহ্মপুত্র নদের নুনখাওয়া পয়েন্টে দশমিক ১৫ সে.মি. এবং ব্রহ্মপুত্র নদের চিলমারী পয়েন্টে দশমিক ১৪ সে.মি. পানি বেড়েছে।
জেলার রাজারহাট উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের তৈয়ব খাঁ এলাকায় তিস্তার ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। রৌমারীর যাদুরচর, উলিপুরের হাতিয়া ও বেগমগঞ্জ রাজীবপুর সদর, মোহনগঞ্জ ও কোদালকাটিসহ কয়েকটি এলাকায় ভাঙনে বিলীন হচ্ছে বসতভিটা ও আবাদী জমি। হুমকিতে রয়েছে বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।