আজকের অগ্রবাণী ডেস্ক | ৩১ আগস্ট ২০১৭ | ১২:১৪ অপরাহ্ণ
সরকার খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিদেশ থেকে খাদ্যশস্য আমদানি শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে কেউই ক্ষুধার্ত ও গৃহহীন থাকবে না। সবাই স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষা পাবে। বুধবার প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার অনুদানের চেক গ্রহণের পর তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বন্যার সময় যারা নদী ভাঙনে গৃহহীন হয়েছেন, তাদের জন্য বাড়ি নির্মাণে ইতোমধ্যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত ঘর-বাড়ি পুনঃনির্মাণেও সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে, তখনই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালীকরণে কাজ করেছে। পাশাপাশি জনগণের মৌলিক চাহিদার পূরণের মাধ্যমে দেশকে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে গেছে।
উন্নয়নের পথে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার অনেক প্রতিবন্ধকতা রয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তবে ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে বিজয়ের মাধ্যমে আমরা ক্ষমতার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পেরেছি। সাহসের সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছি। এ ধারাবাহিকতার কারণে উন্নয়নের প্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। জনগণ এর সুফল পাচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বব্যাপী উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বন্যাদুর্গত মানুষকে সহায়তা দেওয়া ও পুনর্বাসনে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, যেন তারা আবার নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে।’ তিনি বলেন, ‘ভৌগলিকভাবে বাংলাদেশ এমন একটি দেশ যেখানে বার বার প্রাকৃতিক দুর্যোগ আঘাত হানে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করে আসছে। আমরা ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই আমাদের সরকার খুবই সতর্ক রয়েছে এবং জীবন ও সম্পদের ক্ষয়-ক্ষতি সর্বনিম্ন পর্যায়ে রাখার জন্য আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ, মন্ত্রণালয় ও সংস্থাগুলোর দানের চেক হস্তান্তর করা হয়। এরমধ্যে ছিল—নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন, বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (এসএসএফ), জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা (এনএসআই), প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে অ্যাক্সেস টু ইনফরমেশন, বাংলাদেশ অ্যাডমিনেস্ট্রেটিভ সার্ভিসেস অ্যাসোসিয়েশন, কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ), খুলনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং এনসিসি ব্যাংক লিমিটেড ।
এছাড়া এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড, কনফিডেন্স গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ, হক গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ, বিকাশ, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ শ্রমিক কর্মচারী লীগ, গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স, খুলনা জেলা বার অ্যাসোসিয়েশন, ফরেন অফিস স্পাউসেস অ্যাসোসিয়েশন, সৎ সংঘ বাংলাদেশ, ভিরগো গ্লোবাল, বনফুল অ্যান্ড কোম্পানি, আওয়ামী লীগ মালয়েশিয়া শাখা এবং খুলনা মহানগর শাখার সাবেক ছাত্রলীগ নেতারা।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালিক স্বপন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি, প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সেক্রেটারি ইহ্সানুল করিম উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর সহকারী ব্যক্তিগত সচিব সাইফুজ্জামান শিখর।