ক্লান্তি দূর বা অতিথি আপ্যায়ন, চা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অনুসঙ্গ। দিন বদলের সঙ্গে সঙ্গে চায়ের ধরণেও পরিবর্তন এসেছে। এখন শুধু চা পাতা দিয়ে চা হয় না, এর সঙ্গে যোগ হয়েছে নানা উপাদান। বাজারে কোন চেইনশপে গেলে দেখে যায় নানা ধরণের চা। একেক চায়ের এক এক কার্যকারিতা। আসুন জেনে নিই বিভিন্ন চায়ের উপকারিতা সম্পর্কে-

ক্যামোমাইল টি: এতে কুয়েরসেটিন নামক উপাদান রয়েছে। যা চোখের ক্লান্তি দূর করে, ফোলা ভাব কাটাতে সাহায্য করে। অনিদ্রা প্রতিরোধ করে। ক্যামোমাইল টি ব্যাগ চোখের উপরে কিছু ক্ষণ রেখে দিলেই এই সমস্ত সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

জেসমিন টি: এটি অ্যান্টিব্যাকটিরিয়াল। ত্বকের র‌্যাশ, ব্রণ সারাতে সাহায্য করে। ত্বক উজ্জ্বল করে তোলে। ত্বকের বার্ধক্য রোধ করে।

গ্রিন টি: অতি মাত্রায় সূর্যালোক ত্বকে ক্যানসারের সম্ভাবনা বাড়িয়ে তোলে। গ্রিন টি ক্ষতিগ্রস্ত ত্বককে সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে। ত্বকের বলিরেখা এবং রিঙ্কলস দূর করে। নতুন কোষ তৈরি করতে সাহায্য করে।

ব্ল্যাক টি: এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট রয়েছে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। ত্বকের বার্ধক্য রোধ করে।

আদা চা: পেটের সমস্যা হলে ত্বকে তার প্রভাব পড়ে। আদা চা হজম শক্তি বাড়িয়ে তোলে। ফলে ত্বক পরিষ্কার থাকে।

পুদিনা চা: তৈলাক্ত ত্বকের জন্য এই চা খুবই উপকারি। ত্বকে অতিরিক্ত তেলের উৎপাদন কমায়। মৃত কোষকে ত্বকের উপর থেকে সরিয়ে নতুন কোষ তৈরিতে সাহায্য করে।

হোয়াইট টি: গ্রিন টি-র থেকেও অনেক বেশি অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট রয়েছে এতে। ত্বকের ম্যাট্রিক্স মেটালোপ্রোটিনেজ উৎসেচকের মাত্রা কমিয়ে ত্বকে স্বাস্থ্যকর করে তোলে।

ম্যাট চা: জাপান থেকে এই চা এসেছে। এটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। খাওয়ার পাশাপাশি ম্যাটচা পাউডার ত্বকে প্যাক হিসাবে লাগাতেও পারেন।

ড্যানডেলিওন টি: বাড়ির আশেপাশের এই ঘাস হয়ে থাকতে দেখা যায়। সেই পাতা তুলে ফুটিয়ে চা বানিয়ে খাওয়া ত্বক এবং স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই উপকারী। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ত্বক উজ্জ্বল করে তোলে।