এম, এ, রউফ খান রিপন, খুলনা থেকে: | ১০ জুলাই ২০১৭ | ১২:৩১ অপরাহ্ণ
খুলনার খালিশপুর রোটারি স্কুলে দীর্ঘ আট বছর পড়েছি। তাতে প্রাপ্তির তালিকায় তেমন স্মরণীয় কিছু না থাকলেও এটা ভালো ভাবেই বুঝেছি যে স্কুলটা দূর্নীতিবাজদের জন্যে সম্পূর্ণ ধবংস হতে চলেছে।অষ্টম শ্রেণী থেকে দূর্নীতির চিত্র গুলি ভালো ভাবেই লক্ষ্য করে আসছি। কারন তার আগে স্কুলের যাবতীয় খরচ বাসার কেউ যেয়ে দিয়ে আসতো। আমি যখন স্কুল থেকে আমার জেএসসি পরিক্ষার সার্টিফিকেট তুলতে যাই তখন সার্টিফিকেট বাবদ ১০০ টাকা করে নিয়েছিল। আমি রশিদ চেলে জানায় রশিদ নাই। এখন কথা হলো এই টাকা গুলি কোথায় যায়?
আমি স্কুলের এসএসসি ২০১৬ এর ব্যাচ।আমরা সেই ব্যাচ যারা সামান্য ফেয়ারওয়েল চাইতে গিয়ে অপদস্থ হয়েছি। ফেয়ারওয়েল পাইনি।কোচিং সহ নানারকম ফি দিয়েছি যার কনো রশিদ পাইনি।টাকা গুলা কোথায় যায়? আমার অনেক প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যেতো যদি সিসিটিভি ক্যামেরা ক্লাসে না লাগায় স্কুল কমিটির কিছু লোকের বাসায় আর অফিস রুমে লাগানো হতো। আর বলতে খারাপ লাগে,তাও বলি স্কুলের কিছু শিক্ষক জীবনে সম্মান পাবেন না আমাদের থেকে।কেউ নাম শুনতে চেলে আমি বলতেও পারি। যেদিন স্কুলে আমাদের এসএসসির টেস্ট পরীক্ষার রেজাল্ট দেয় সেদিন অনেকে রেজাল্ট পায়নি। এমন অবস্থায় পুলিশ আমাদের স্কুল থেকে লাঠি চার্জের হুমকি দিয়ে বের করেছে।
এখন এসএসসি পরিক্ষার সার্টিফিকেট নেওয়ার সময় হয়েছে। দয়া করে সার্টিফিকেট নেওয়ার সময় টাকা দিবা না কেউ। যদি টাকা চায় রশিদ নাও।একটা সীমা আছে তারা সেই সীমালঙ্ঘন করেছে আগেই।এখন থামানোর সময়। স্কুলটা আমাদের ভাই,স্কুলটা বাঁচাতে আমাদের এগিয়ে আসা দরকার।দয়া করে এগিয়ে আসুন সবাই।
রোটারি স্কুলে কনো ভাগ্যবতী, দরবেশ, ভন্ড,
চোর,বাটপার,দূর্নীতিবাজদের ঠাই নাই। ওদের বিরুদ্ধে আর প্রতিবাদ নয় এখন প্রতিরোধ গড়ে তোলার সময়। আর তোরা শুনে রাখিস তোদের স্কুলের কমিটির মেয়াদ বড় নাকি কেয়ামত
বড়??? জবাব দিতে হবে আল্লাহর কাছে। সময় থাকতে চলে যা স্কুল থেকে।পরে পালানোর যায়গা পাবিনা।
রোটারি স্কুলের ব্যাবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে ২০১৬ সালে এস, এস, সি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রাক্তন ছাত্র ফাহমিদ ইয়াসি ফেসবুক স্ট্যাটাসটি তুলে ধরা হলো।