এম, এ, রউফ খান রিপন | ১২ আগস্ট ২০১৭ | ১১:০৬ অপরাহ্ণ
নগরীর আড়ংঘাটা থানার ৫ নং ওয়ার্ড এর বাসিন্দা দোকানদার ফারুকের ভাড়াটিয়া তালাক প্রাপ্তা রাহিমা খাতুন (২৫ ) স্বামীর ছুরির আঘাতে গুরুতর আহত হয়েছেন।
গতকাল রাহিমার স্বামী সাগর শেখ (২৮) মহেশ্বরপাশা সাড়াডাঙ্গা কবরস্থানে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে আকষ্মিকভাবে ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে কোপাতে থাকে। গোরস্থানের ভেতরে পুকুরে মাছ ধরতে থাকা জেলেরা দেখে ধাওয়া দিলে রাহিমাকে ফেলে ঘাতক সাগর পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন দৌলতপুর থানায় খবর দিলে ডিউটিরত অফিসার এস,আই শেখ মোঃ মনিরুজ্জামান তাৎক্ষনিকভাবে গুরুতর আহত রাহিমাকে নিয়ে খুমেক হাসপাতালে ভর্তি করেন এবং এ, এস,আই মোঃ রুবেল হোসেন রোগীকে রক্ত দিয়ে সাহায্য করেন।
আহত রাহিমার মা ডিউটিরত পুলিশদের কাছে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, ‘স্যারেরা আমার মেয়েকে যে সাহায্য করেছেন তা আমি কোন দিন ভুলবো না’’। জানা গেছে আঃ খালেকের মেয়ে রাহিমা খাতুন শলুয়া পাহাড়পুর গ্রামের হায়দার শেখের ছোট ছেলে সাগরের সঙ্গে ৭ বৎসর পূর্বে বিবাহ হয়। জাহিদ নামে তাদের সাড়ে তির বছরের একটি ছেলেও রয়েছে। রাহিমার পারিবারিক সূত্রে জানা যায় যৌতুকের জন্য সাগর প্রায়ই রাহিমাকে নির্যাতন করতো। বিড়ির আগুন দিয়ে শরীরে ছ্যাকা , গরম পানি শরীরে ছিটিয়ে নানাভাবে নির্যাতন করতো। এসব সহ্য না করতে পেরে স্ব- ইচ্ছায় গতবছর স্বামীকে সে তালাক দেয়। এতে স্বামী সাগর ক্ষিপ্ত হয়ে বিভিন্ন সময়ে স্ত্রী রাহিমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। রাহিমার মা ফরিদা বেগম জামাই সাগরকে তার মেয়ের সাথে যোগাযোগ করতে নিষেধ করার পর থেকে সে আরো ক্ষীপ্ত হয়ে উঠে। সর্বশেষ গতকাল ভোরে রাহিমাকে মহেশ্বরপাশা গোরস্থানে ডেকে নিয়ে ছুরি দিয়ে গলায়, বুকে, মাথাসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে কুপিয়ে মারাত্বক জখম করে।
সাগরের পিতা হায়দার শেখ, মাতা এবং বড় ভাই সোহাগ শেখ জানাতে চাইলে তারা বিষয়টি জানে না বলে জানায় এবং সাগরের সাথে তাদের গত এক বছর ধরে কোন যোগাযোগ নেই। এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রাহিমা খুমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। দৌলতপুর থানায় এ বিষয়ে জানতে চাইলে কর্তব্যরত পুলিশ এসআই শেখ মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন, আসামী ধরার চেষ্টা চলছে এবং রোগী সুস্থ হলে আসামীর বিরুদ্ধে রাহিমার পরিবার মামলা করবে বলে জানা গেছে। ৫নং আড়ংঘাটায় ইউপি চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান জিবলু মোড়লে কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি কোন সদউত্তর না দিয়ে এড়িয়ে যান।