এম এ রউফ খান | ০৬ আগস্ট ২০১৭ | ১১:০৯ অপরাহ্ণ
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন বিএফইউজে ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ ৬ আগস্ট রোববার সকালে খুলনা প্রেস ক্লাবের সামনে মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন (এমইউজে) খুলনা এর মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এসময় বিতর্কিত ৫৭ ধারাসহ সকল কালাকানুন বাতিলকরে সাংবাদিক নির্যাতন নিপীড়ন বন্ধ করুন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন এর (বিএফইউজে) নির্বাহী সদস্য এহতেশামুল হক শাওন বলেন , সরকার গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করার জন্য আইসিটি এ্যাক্টের ৫৭ ধারা নামক কালাকানুন তৈরি করেছে। এর মাধ্যমে সংবাদপত্র ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করা হচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে দেশব্যাপী সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেফতার, নির্যাতন ও হয়রানি শুরু হয়েছে। গণতন্ত্র ও ৫৭ ধারা এক সাথে চলতে পারে না। মানববন্ধনে কালাকানুন বাতিল, এমইউজের সিনিয়র সদস্য খুলনা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী মোতাহার রহমান বাবু, সাংবাদিক সোহাগ দেওয়ান ও আব্দুল লতিফ মোড়লসহ সকল মিডিয়াকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়। কর্মসূচিতে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ এ সব কথা বলেন।
এমইউজে’র সভাপতি মো. আনিসুজ্জামানের সভাপতিত্বে ও কোষাধ্যক্ষ আব্দুর রাজ্জাক রানার পরিচালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন বিএফইউজের নির্বাহী সদস্য এহতেশামুল হক শাওন।
প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন বিএফইউজের সাবেক নির্বাহী সদস্য ও খুলনা প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি শেখ দিদারুল আলম। বক্তব্য রাখেন এমইউজের সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) আবুল হাসান হিমালয়, খুলনা প্রেসক্লাবের সাবেক কোষাধ্যক্ষ রাশিদুল ইসলাম, এমইউজের সাবেক সহ-সভাপতি আব্দুল খালেক আজীজী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এইচএম আলাউদ্দিন, খুলনা প্রেসক্লাবের নির্বাহী সদস্য হারুন-অর রশীদ, দৈনিক প্রবর্তনের নির্বাহী সম্পাদক কেএম জিয়াউস সাদাত, টিভি ক্যামেরা জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি রকিবুল ইসলাম মতি, দৈনিক প্রবাহের সিনিয়র রিপোর্টার মাকসুদ আলী, দৈনিক প্রবর্তনের চীফ রিপোর্টার ডিএম রেজা সোহাগ, কবি ও প্রাবন্ধিক এম হেফজুর রহমান, আবুল হাসান শেখ, এম এ রউফ খান খুলনা প্রতিনিধি আজকের অগ্রবানী সহ প্রমুখ।
এ ছাড়া সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক এডভোকেট শেখ জাকিরুল ইসলাম, এডভোকেট মিজানুর রহমান, অধ্যাপক মনিরুজ্জামান মোড়ল, হাফিজুর রহমান পিন্টু, কামরুল হোসেন এরশাদ প্রমুখ।
সমাবেশে প্রধান অতিথি আরো বলেন, এর আগে সকল পক্ষকে নিয়ে ওয়েজবোর্ড গঠন করা হয়েছে। এবারও সকল সাংবাদিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের নিয়ে নবম ওয়েজবোর্ড গঠন করতে হবে। তা না হলে এর পরিণতি ভাল হবে না। আমরা জানতে পেরেছি সাংবাদিকদের একটি অংশকে নিয়ে নবম ওয়েজ বোর্ড গঠনের ষড়যন্ত্র চলছে। প্রধান বক্তা খুলনা প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি শেখ দিদারুল আলম বলেন, অবিলম্বে ৫৭ ধারাসহ গণমাধ্যম বিরোধী সব কালাকানুন বাতিল, নবম ওয়েজ বোর্ড গঠন, বন্ধ মিডিয়া খুলে দেয়া ও সাংবাদিক নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। সাগর-রুণীসহ সকল সাংবাদিক হত্যা ও নির্যাতনের বিচার করুন। অবিলম্বে সকল সাংবাদিক হত্যার বিচারে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।সভাপতির বক্তব্যে এমইউজের সভাপতি মো. আনিসুজ্জামান বলেন, নবম ওয়েজবোর্ড সাংবাদিকদের মৌলিক দাবি। আমরা দীর্ঘদিন এ দাবি বাস্তবায়নের জন্য আন্দোলন করে যাচ্ছি। যদি সকল সাংবাদিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের মাধ্যমে নবম ওয়েজবোর্ড গঠন করা হয় তাহলে কোনো কথা নেই। আর যদি শুধুমাত্র কয়েকজন দলীয় প্রতিনিধির মাধ্যমে ওয়েজবোর্ড গঠন করা হয় তাহলে আমরা তা মেনে নেবো না। শুধু আমরাই নয়, কোনো সাংবাদিক সমাজই তা মেনে নেবে না। সকল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাংবাদিকদের সমন্বয়ে নবম ওয়েজবোর্ড গঠন করতে হবে।