এম আরমান খান জয়, গোপালগঞ্জ: | ২২ জুন ২০১৭ | ৪:৫৭ অপরাহ্ণ
গোপালগঞ্জের নাম মুজিবগঞ্জ করার দাবিতে বঙ্গবন্ধু গবেষণা ফাউন্ডেশন দেশব্যাপী মানববন্ধন ও আলোচনা সভার আয়োজন করছে। ইতোমধ্যে ঢাকা, খুলনা, বাগেরহাট, গোপালগঞ্জ, শরীয়তপুর ও কিশোরগঞ্জে এ বিষয়ে মানববন্ধন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এই প্রস্তাবের প্রস্তাাবক বঙ্গবন্ধু গবেষণা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব শেখ ওয়াহিদুজ্জামান আল ওয়াহিদ ইতোমধ্যে প্রস্তাবটির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে পত্র প্রেরণসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে জনমত সৃষ্টির লক্ষ্যে তা প্রচারের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।
বঙ্গবন্ধু গবেষণা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব শেখ ওয়াহিদুজ্জামান আল ওয়াহিদ বলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতির জন্য যে অতুলনীয় অবদান রেখে বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ ও এদেশের বাঙালি জাতিকে স্বাধীন জাতি হিসেবে সগৌরবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার দূর্লভ মর্যাদা দিয়ে গেছেন, তাঁর জন্মভূমিটি তাঁর নামেই পরিচিতি লাভ করবে এটাই স্বাভাবিক। এটি তাঁর কর্মের নূন্যতম স্বীকৃতি আর ইতিহাসের ন্যায্য দাবি। বিশ্বের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, এর বহু নজির রয়েছে সারা বিশ্বে। যুগে যুগে এই জনপদ নানা নামে পরিচিত ছিল। কালের বিবর্তনের প্রেক্ষাপটে সময়ের ন্যায্য দাবী অনুযায়ী বাঙালি জাতির পিতার নামানুসারে তাঁর জন্মভূমি পরিচিতি লাভ করলে সেটাই হবে আমাদের জন্য তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ এবং ইতিহাসের ন্যায্য দাবীও এতে প্রতিষ্ঠিত হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করি বাঙালি ও বাংলাদেশ নামটির সাথে অবিচ্ছেদ্য ভাবে চিরস্মরণীয় ও একাকার হয়ে আছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম। তথাপি এ কাজটি এখন সময়ের খুবই ন্যায্য দাবী। কারণ আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সরকার গঠিত হয়েছিলো যে স্থানে সে স্থানের নাম ছিল বৈদ্যনাথতলা যা সেদিন থেকে মুজিব নগর নামে পরিচয় লাভ করে। তেমনি এদেশের অবৈধ সামরিক শাসকগণ ও তাদের শাসনামলে এদেশের বহু স্থানের নামকরণ করেছেন জিয়া নগর, এরশাদ নগর, এমনকি পাকিস্তানি অনেক শাসকদের নামেও এদেশে এখনও রয়েছে বহু স্থান, মহল্লা, রাস্তা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম। স্থানের নাম পরিবর্তন বা সংস্কার ইতিহাসের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া যুগের প্রয়োজনে যা ঘটে থাকে।
বঙ্গবন্ধু গবেষণা ফাউন্ডেশনের এই প্রস্তাবে সহমত পোষণ করে সমর্থনদানকারী সংস্থাসমূহ হলো, বঙ্গবন্ধু চেতনালীগ, সেলিব্রেটি রিসার্চ ফাউন্ডেশন, সাউথ এশিয়ান কালচার সোসাইটি, সোসাইট ফর ওয়ার্ল্ড হিউম্যান রাইটস অব বাংলাদেশ, সেভ দ্যা ওয়ার্ল্ড এনভার্নমেন্ট এন্ড হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশন, মাদার তেরেসা রিসার্চ এন্ড ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন, সাউথ এশিয়ান ক্রাইম ওয়াচ সোসাইটি, হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট অরগানাইজেশন, আলোড়ন সাহিত্য সংসদ, খুলনা সাহিত্য একাডেমী, লেখক কল্যাণ সংস্থা, বাংলাদেশ সাংবাদিক সংস্থা (বাসাস), জাতীয় দৈনিক সবুজ বিপ্লব, জাতীয় দৈনিক কথাবার্তা, জাতীয় সাপ্তাহিক নতুন শতাব্দীর আলোড়ন, জাতীয় সাপ্তাহিক বাংলাদেশ পরিক্রমা, ত্রৈমাসিক কলম সৈনিক, ত্রৈমাসিক লেখক কন্ঠ।