নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৩ আগস্ট ২০১৭ | ৭:১২ অপরাহ্ণ
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার পারুলিয়া গ্রামের মোঃ রাসেল মিনা ও সাহেব আলী প্রতিপক্ষের হামলায় গত ২৭.০৬.২০১৭ তারিখে মারাত্বকভাবে যখম হয়ে গোপালগঞ্জের ২৫০ শয্যা হাসপাতালে জরুরী বিভাগে ভর্তি হয়। রোগীর অবস্থা খারাপ দেখে কর্তব্যরত ডাক্তার ব্যথা ও জীবানুনাশক ঔষধ প্রদান করে দ্রুত সময়ে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (নিটোর), ঢাকায় প্রেরণ করে।
রোগীর স্বজনেরা তাৎক্ষনিক এ্যাম্বুল্যান্স যোগে ঢাকা রওনা হয় এবং আনুমানিক দুপুর ২ ঘটিকা নাগাদ উক্ত হাসপাতালে ভর্তি হয় এবং চিকিৎসা চলিতেছে।
আহত মোঃ রাসেল মিনা জানায় যে তার বাম হাতের হাড় জোড়া লাগানোর কাজ এবং হাতের আঙ্গুলের রগ প্রতিস্থাপনের কাজ এখনো চলমান রয়েছে।
ইতোমধ্যে তার পক্ষে শশুর মোঃ ইয়ার আলী বাদী হয়ে গোপালগঞ্জের আমলী আদালতে মামলা করলে কাশিয়ানী থানার মামলা তদন্ত কর্মকর্তা মোঃ ফারুক হোসেন (২)মোঃ রাসেল মিনা ও সাহেব আলী উভয়ের পিতার নাম উল্লেখ্য করে মেডিকেল সনদ চেয়ে হাসপাতালের আবাসিক ডাক্তারের নিকট পত্র প্রেরণ করে। আবাসিক ডাক্তার রোগীদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা প্রেরণ করা হয়েছে তা তদন্ত কর্মকর্তাকে অবহিত না করে মামলাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য জখমির অবস্থা সাধারণ দেখিয়ে জখমী মোঃ সাহেব আলীর পিতার নাম ভিন্ন লেখে মেডিকেল সনদ প্রদান করে। জখমীর অভিযোগ আবাসিক ডাক্তার অনৈতিক সুবিধা নিয়ে তরিঘরি করে সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট মেডিক্যাল সনদ প্রদান করেছে।
বাদী পক্ষ জানায় এমনিতে আসামীদের ভয়ে এলাকায় টিকতে পারছি না তার উপর এখন জামিন নিয়েছে। আমাদের এখন এলাকায় থাকা সম্ভব হবে না। বাদী পক্ষ মেডিক্যাল সনদ বাতিল ও দায়ীদের শাস্তির জন্য গোপালগঞ্জের ২৫০ শয্যা হাসপাতালের তত্বাবধায়কের নিকট আবেদন দিয়েছেন।