পরশ উজির: | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭ | ৮:৩৭ পূর্বাহ্ণ
নদীর এপাড় ভাঙ্গে ওপাড় গড়ে, এইতো নদীর খেলা। নদীর ভাঙ্গা গড়ার খেলা আর ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের দুঃখ দেখে মরমী শিল্পীরা এই গানটি গেয়েছিলেন।
মধুমতি নদী বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মাগুরা, ফরিদপুর, নড়াইল, বাগেরহাট এবং গোপালগঞ্জ জেলার একটি নদী।নদীটির দৈর্ঘ ১৭০ কিলোমিটার গড় প্রস্হ ৪০৮ মিটার।
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মধুমতি নদী ভাঙ্গনের খবর হয়তো তখন তাদের কাছে ছিল না। কিন্তু তৎকালীন সময়ে স্বপ্নের এই গানের কথামালা যে বাস্তবে রূপ নেবে তা কজনই ভেবে ছিলেন। এখান কার মধুমতি নদী ভাঙ্গনে নদী তীরবর্তী দক্ষিণ পারকরফা, জয়বাংলা ও লংকারচর গ্রামের শত শত বসত বাড়ি ও ফসলে জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। অব্যাহত নদী ভাঙ্গনের শিকার শত শত একর ফসলের মাঠ ও বিস্তীর্ণ জনপদ হুমকির সম্মখীন। নদী ভাঙ্গনে ইতিমধ্যে অসংখ্য মানুষ হয়েছে ভূমিহীন আর অপর দিকে বাড়ছে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের কান্নার ঢেউ। তারা এখন জমিজমা হারিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। মধুমতি নদীর ভাঙ্গনে নাদীর তীরে বসবাস কারী জনসাধারণ উদ্বেগ উৎকন্ঠার মধ্যে দিনাতিপাত করছেন। তাদের ভাগ্যের কোন পরিবর্তন হয়নি আজও।
ভোটের আগে তারা ফ্যাক্টর হলেও পরে তারা মূল্যহীন এক ভিন্ন জগতের বাসিন্দা বলে বিবেচিত হয়। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য হাজারো সমস্যায় নিমজ্জিত মানুষ গুলোর খবর রাখেনা কেউই।
এব্যাপারে ভুক্তভোগী, আমীর সরদার, মিনি বেগম, মহাসীন শেখ, হেমায়েত সরদার, পলিনা বেগম, মোঃমোসলেম শেখ, মঈন উদ্দিন ও ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্রী সাথী আক্তার আজকের অগ্রবাণী কে জানান, জরুরী ভিত্তিতে যদি চরভাটপাড়া হতে লংকারচর পর্যন্তু দেড় কিলোমিটার নদী বাঁধ দেওয়া না হয় তাহলে আরো শত শত মানুষ বাড়ি ঘর হারিয়ে সর্ব শান্ত হয়ে পড়বে। ঐ ছাত্রী আরও বলেন দক্ষিণ পারকরফা, জয়বাংলা গ্রামকে রক্ষার জন্য প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরে আমি নিজে বার বার গিয়েছি এবং আবেদন করেও কোন সাড়া মেলেনি। তাই তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার রাতইল ইউনিয়নের দক্ষিণ পারকরফা, জয়বাংলা ও লংকারচর বাসীদের কে নদী ভাঙ্গন থেকে রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যাবস্হা গ্রহণের জন্য আবেদন জানান।