| ১৯ জানুয়ারি ২০২১ | ৮:৩৫ অপরাহ্ণ
দেশের ছয়টি বিতরণ কোম্পানির বকেয়া গ্যাস বিলের পরিমাণ ৯ হাজার ১৯ কোটি চার লাখ টাকা বলে জাতীয় সংসদে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তরে এ তথ্য দিয়ে তিনি আরও জানান, দেশে বর্তমান বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৪ হাজার ৪২১ মেগাওয়াট।
আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে জাতীয় সংসদে প্রতিমন্ত্রীর দেয়া তথ্যানুযায়ী সবচেয়ে বেশি গ্যাস বিল বকেয়া তিতাসের। তাদের বকেয়া বিলের পরিমাণ ছয় হাজার ৬৭৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা। এছাড়া বাখরাবাদ গ্যাস কোম্পানির ৬৯৬ কোটি ৮১ লাখ, কর্ণফুলীর ৮৪৪ কোটি ৯৫ লাখ, জালালাবাদের ৪৮৩ কোটি ৩২ লাখ, পঞ্চিমাঞ্চলের ১৯৫ কোটি ১৯ লাখ এবং সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানির ১২০ কোটি ৯৭ লাখ টাকা বকেয়া রয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী গত ১০ বছরে তিতাস গ্যাসের সিস্টেম লসের তথ্য তুলে ধরেন। সেখানে বলা হয়েছে, ২০১২-১৩ অর্থবছরে সিস্টেম লস প্রায় শূন্যের কোটায় নেমে এলেও এখন বাড়ছে। গত ১০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সিস্টেম লস হয়েছে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে। ওই অর্থবছরে তিতাসের ৫ দশমিক ৭১ শতাংশ সিস্টেম লস হয়। এছাড়া ২০০৯-১০ অর্থবছরে ২ দশমিক ১৪ শতাংশ, ২০১০-১১ অর্থবছরে এক দশমিক ৮২ শতাংশ, ২০১১-১২ অর্থবছরে এক দশমিক ৩৯ শতাংশ, ২০১২-১৩ অর্থবছরে শূন্য দশমিক শূন্য তিন শতাংশ, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে শূন্য দশমিক ৩২ শতাংশ, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে তিন দশমিক ৮৯ শতাংশ, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে দুই দশমিক ৮১ শতাংশ, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে এক দশমিক ৩৫ শতাংশ, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এক দশমিক ১৭ শতাংশ, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে পাঁচ দশমিক ৭১ শতাংশ এবং ২০১৯-২০ অর্থবছরে দুই শতাংশ সিস্টেম লস হয়েছে।
আলী আজমের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানান, বর্তমানে দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ক্যাপটিভ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ ২৪ হাজার ৪২১ মেগাওয়াট। এর মধ্যে আমদানিসহ গ্রিডভিত্তিক উৎপাদন ক্ষমতা ২১ হাজার ২৩৯ মেগাওয়াট, ক্যাপটিভ ২৮০০ মেগাওয়াট ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি ৩৮২ মেগাওয়াট।